1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
নেত্রকোণায় ছাত্রদল কর্মীকে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার বিচার দাবি - Bikal barta
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বুধবার| রাত ১০:৪৬|

নেত্রকোণায় ছাত্রদল কর্মীকে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার বিচার দাবি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২২, ২০২৪,
  • 87 জন দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোণায় ছাত্রদল কর্মী মোঃ আমজাদ হোসেনকে (২৭) কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোণা মডেল থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিনসহ দায়ীদের বিচারের দাবিতে মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনের সড়কে এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন— জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলাইমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার জাহান, নিহত আমজাদ হোসাইন বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসাইন প্রমুখ। নিহত আমজাদ হোসেন নেত্রকোণা শহরের হোসেনপুর এলাকার মৃত আলী হোসাইনের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। স্থানীয় ও কেন্দ্রঘোষিত সব কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন বলে জানান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ারুল হক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ মে রাত ৩টার দিকে নেত্রকোণা মডেল থানার তৎকালীন ওসি বোরহান উদ্দিন ও এসআই মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ছাত্রদল কর্মী আমজাদের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে আমজাদের বড় ভাই মনির হোসাইকে হাতকড়া পরানো হয়। আমজাদকে ঘুম থেকে তুলে হাতকড়া পরানো হয়। এ অবস্থায় দুভাইকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলেন পুলিশ সদস্যরা। ১০ মিনিটের মতো তাদের নিয়ে মহল্লার মধ্যে ঘুরিয়ে মনিরকে ছেড়ে দেওয়া হয় পরে আমজাদকে চোখ বেঁধে নিয়ে গিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার মেদনি ইউনিয়নের বড়ওয়ারি সেতু এলাকায় মাদক উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি নিহতের ভাই দোলোয়ার হোসাইন বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওসিকে প্রধান আসামি করে মামলার আবেদন করলে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। মানববন্ধনে আমজাদের ভাই দেলোয়ার হোসাইন বলেন, বিচারবহির্ভূতভাবে আমার ছোট ভাই আমজাদকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে মাদক কারবারের অভিযোগ এনে তৎকালিন ওসি বোরহান উদ্দিনসহ অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্য গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তখন বিপদের আশঙ্কায় মামলা করতে সাহস পাইনি। আদালতে আবেদন করলেও বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে খারিজ করে দেওয়া হয়। এখন দুএক দিনের মধ্যে মামলা করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন খানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আমজাদ নিহত হওয়ার পর বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেনছিলেন, খুন, অস্ত্র, বিস্ফোরক, দ্রুত বিচার, চুরি, মাদকসহ ১৩টি মামলার আসামি ছিলেন আমজাদ। মাদকবিরোধী অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে তার দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালানো হলে তিনি পুলিশের ওপর হামলা চালান। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহত আমজাদের ভাবি স্বপ্না আক্তার বলেন, আমার দেবর কোনো দিন একটি সিগারেটও খায়নি। এলাকায় সবাই তাকে ভলো ছেলে হিসেবে জানতো। তিনি কোনো মানুষকে নির্যাতন করেছে কেউ বলতে পারবে না। যে মামলাগুলো করা হয়েছিল তা সব রাজনৈতিক মামলা। বিএনপি করত বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আশা করি এখন ন্যায়বিচার পাব।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!