আব্দুল্লাহ শেখ,রামপাল(বাগেরহাট) সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলি তুলে ধরা হচ্ছে প্রাচীনতম মাধ্যম পট গানের মাধ্যমে। এ পটগান থেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা নিচ্ছেন গ্রামের শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষেরা। জানছেন বাল্য বিবাহ না করার সুফল সম্পর্কে। এমন আয়োজন সমাজে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকেরা। ইয়ুথ এম্পাওয়ার্ড প্রজেক্ট কতৃক আয়োজিত, উত্তরণ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে, রামপাল উপজেলার উজলকুড়, রামপাল সদর, বাইনতলা, রাজনগর, গৌরম্ভা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়সহ ১০টি ইউনিয়নে ২৮টি পট গানের আয়োজন করা হয়েছে। ফুলপুকুর বাজারে পট গানের শো দেখে নুরুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমরা ছোট থাকতে এমন পট গান দেখেছি। এরপর আর দেখি নাই। এ গানের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। জয়নগর বাজারে পট গানের শো শেষে জয়তী রাণী নামে এক দর্শক বলেন, নানা বয়সী ছেলে- মেয়েরা পট গান দেখেছে। এখান থেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে তারা জানছে এবং সচেতন হচ্ছে। নিসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রত্যেকটি পট গানে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলি গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় জনগণের মতে, পট গান একটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং জনপ্রিয় মাধ্যম যা সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে আসছে। উদ্যােগ নেওয়া সংস্থাটি এই মাধ্যমটিকে ব্যবহার করে সমাজের একটি গুরুতর সমস্যা নিয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে সফল হচ্ছেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক উত্তরণের প্রজেক্ট ম্যানেজার মালোবিকা বিশ্বাস জানান, বাল্যবিবাহ সম্পর্কে প্রত্যান্ত গ্রামীন মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে যাতে করে সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষ এই ধরনের সামাজিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। আমরা চাই একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠুক।###