পর্ব-৩
. মোটা উৎকোচে ‘পিঠা ভাগকারী বানর’র ভুমিকায় থেকে সবার মন যুগিয়ে নিজের অবস্থান নির্বিঘ্ন রেখেছেন
.কিন্তু অবাধে কাড়ি কাড়ি মাল কামানোর বে-খবরটা পারেননি, আটকে রাখতে . সেই সাথে নিরবচ্ছিন্ন খুশি-খোশাল তৎপরতার সাম্প্রতিক কু-খবরও
বিশেষ প্রতিবেদক
সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ ‘বিআরটিএ’র বিগত ২০১৮-১৯ সালের সেই সিএনজি ‘রিপ্লেস’ ধান্ধার হোতা এখন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক হয়ে শুদ্ধাচারের দরবেশ বেশে ঘুষবাজ রক্ষনাবেক্ষন আর এক লম্বা হস্তের খুশি-খোশাল ধান্ধায় স্বচ্চন্দে বহাল। অতঃপর সময়ের ফেরে ওই লম্বা হস্তের তালে নিরব বেশামাল তোপের আশঙ্কা। আর তা নিয়ে একাধিক খন্ড প্রতিবেদনের এ অংশে থাকছে-শুদ্ধাচারের মহাগুরুর তকমায় বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লহ’র সার্কেলের ঘুষবাজদের রক্ষনাবেক্ষন ধান্ধার সাথে ওই লম্বা হাতের স্পর্শ দৃঢ় করার কৌশলী প্রয়াসের ভয়ঙ্কর কু-র্কীতির আরো কিছু নমুনা । ওই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসন’র নির্দেশে যে কয়জন ওই গেল আন্দোলনেও খুশি-খোশাল ভুমিকায় তৎপর ছিলেন,তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি । যা এযাবৎ নানা কারণে তা চাপা থাকলেও সদ্য ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রকাশ্য আলোচনায়-সমালোচনায় রূপ নিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়,যদিও চতুর ও ক্ষমতাধর শহীদুল্লাহ’র রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডের ,বি-ব্ল¬কের ১৩/এ/১ নম্বর সেলটেক চন্দ্রমলি¬কার আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্টে। তার রয়েছে-শ্যামলী ০২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ নম্বরস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিশাল বহুল বাড়ি। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে,দুই-দুইটা নজর কাড়া বাড়ি। যার একটির নম্বর ৪১। এছাড়া মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবরের বেশী কিছুর সন্ধান আপাতত না দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
তবে বরাবরই কৌশলী শহীদুল্লাহ তার লম্বা হাতের ছোয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনসহ তার বলয়ের ক্ষমতায় সার্কেলগুলোর ঘুষবাজদের রক্ষায় প্রাপ্ত মোটা উৎকোচে সেই ‘পিঠা ভাগকারী বানর’র ভুমিকায় থেকে যেমন-নিজের অবস্থান নির্বিঘ্ন রেখেছেন,তেমনি-একটা দীর্ঘ সময় ধরে অবাধে কাড়ি কাড়ি মাল কামানোর বেখবরটা আটকে রাখতে পারেননি। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজি’র রিপ্লেসমেন্ট’র নাম্বার ও ভাঙ্গাড়ি বিক্রিসহ হরেক ধান্ধা মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন শুদ্ধাচারের মহাগুরুরুপে বহাল তবিয়্যতে। আর এখন রক্ষাকবজরূপের আড়ালে‘সাখের করাত’ রূপে-ধরা, ছাড়া ও ছাড়িয়ে দেয়াসহ অভিযোগের ‘সুল’এ তুলে মোটা ধান্ধায় রয়েছেন বহাল। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তিনি জুড়িহীন।
আরো জানায়,বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই এক লম্বা হাতের ছোয়ায় শহীদুল্লাহ ‘বিআরটিএ’ ঘিরে অদৃশ্য অসীম শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএ’র সব কূটকৌশলের মাস্টার মাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাত বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহ’র সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা। এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন ঢের সম্পদ। এছাড়া তিনি বিআরটিএ’র ‘জমিদার’ বলে বেশ পরিচিত । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুন্নতা রক্ষায়ই গেল মাসে ছাত্র আন্দোলন বে-খাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে আিরটিএ’র ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহ’র নাম ছড়াচ্ছে। যাতে চলামান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএ’র ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এটে রেখেছেন। তার মানে-ওই সেই কথা“ঠাকুর ঘরে কেরে ? আমি কলা খাই না” অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন। এরপর..