নিজস্ব প্রতিবেদক>> সিলেটের গোলাপগঞ্জের ধারাবহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী এনাম দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাকে আটক করতে মামলার বাদী যৌথবাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায় গত ৪ আগস্ট দুপুর আনঃ গোলাপগঞ্জের ধারা বহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সসস্রকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতারী গুলি চালায়, এসময় তাদের গুলিতে তাজউদ্দীন নামের এক যুবক নিহত হয়। একই দিন গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সসস্রকর্মীদের হাতে ৭জন নিহত হয়।
সেই উত্তাল আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের অস্রধারী ক্যাডাররা লাপাত্তা হয়ে যায়। এরপর গত ২৮ আগস্ট মৃত তাজ উদ্দিন এর স্ত্রী রুলী বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী কর ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪/১৪২। সেই মামলার ২৩ নং আসামী খাটকাই গ্রামের দুদু মিয়ার পুত্র এনামুল হক এনাম।
বর্তমানে যুবলীগ ক্যাডার এনাম পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে লোকমূখে শোনা যায়। এনাম পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দেশের বাহিরে চলে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখনই যদি তাকে আটক করা না হয়, তাহলে যে কোন সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে।
আঅওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকতে যুবলীগ ক্যাডার এনামুল হক এনাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এককভাবে পুরো গোলাপগঞ্জের মাদক ব্যবসা, বালি ব্যবসার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাঁজি, ছিনতাইকারীর সর্দার, বিলের টাকা লুটপাটকারী, অসামাজিক কার্যকলাপসহ সকল অপরাধ আস্তানা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার ভয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে পারতোনা। এখনই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার উপযুক্ত সময়।