এম হোছাইন আলী,কক্সবাজার কুতুবদিয়া(প্রতিনিধি)।
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া পয়েন্টের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এলপিজিবহনকারী জাহাজের আগুন দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এনেছে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল। এ সাথে জাহাজের থাকা ৩১ ক্রু কে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া দ্বীপের কৈয়ারবিলের পশ্চিমে বহিঃনোঙর জাহাজখাড়ী নামক এলাকায় ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দুর্ঘটনা স্থানে যাওয়ার পর অনেক চেষ্টায় রোববার বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বলে জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি।
জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ চলমান আছে বলে নিশ্চিত করেন।
কোস্ট গার্ড সূত্রে আরো আরো জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত লাইটারেজ জাহাজ গ্যাস ভর্তি করে চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায় এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
জাহাজে আগুন ধরার দৃশ্য দেখে কুতুবদিয়া উপকূল লোকজন কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে খবর পৌঁছালে সাথে সাথে কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।
সূত্রে আরো জানা গেছে,জাহাজটিতে ৩১ ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।
এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি কোন ধরনের নাশকতা- তা জানতে কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান খন্দকার মুনিফ তকি।
তাৎক্ষনিক জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কি পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানাতে পারেনি এই কর্মকর্তা।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানী-বাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা এটি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।