নিজস্ব প্রতিবেদক>>সিলেট শহরতলীর পিরের বাজারে আইনি অধিকার না থাকলেও কথিত সাংবাদিকরা ক্ষমতার দাপটপ চেক পোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি লুটপাট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় পিরেরবাজার আতিক সেন্টারের সামনে প্রতিদিন সাংবাদিক পরিচয়ে চলে ভারত থেকে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা অবৈধ বুঙ্গার চিনির গাড়ি লুটপাটের ধান্দা। এসব সাংবাদিকরা তামাবিল-সিলেট হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারি প্রত্যেকটি ট্রাক আটকিয়ে তল্লাশী করেন। তল্লাশী করার সময় ট্রাকে চিনি বা ভারতীয় অন্য কোন পণ্য পেলে তা সাথে সাথে লুটপাট হয়ে যায়। তবে পরিচিত হলে পাওয়া যায় “ডিসকাউন্ট”। পরিচিত কেউ হলে লুটপাট থেকে রেহাই পেলেও দিতে হয় বড় অংকের চাঁদা।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, জনৈক কয়েকজন তথাকথিত সাংবাদিক প্রতিদিন রাতে পিরেরবাজার এলাকায় পাহারা বসান। যেখানে অপরাধী ধরতে পুলিশের চেকপোষ্ট বসিয়ে পাহারা দেওয়ার কথা, সেখানে সাংবাদিক পরিচয়ে পাহারা দেওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয়। এটা সাংবাদিকতার কোন নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক।
এসব কথিত সাংবাদিকদের নেই কোন ভিত্তি, এরা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক এরকম নাম না জানা অনেক পত্রিকার পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করেন, এদেরকে মেজরটিলা ও পিরেরবাজারের স্হানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা শেল্টার দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা যায়, ঐসব সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের বন্ধুও আছেন কয়েকজন।
স্হানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন , সাংবাদিক পরিচয়ে চোরাকারবারিদের জিম্মি করে চলে লুটপাট ও চাঁদাবাজি। চাঁদা না দিলে বা লুটপাটে বাধা দিলে করা হয় শারীরিক ও মাসিক নির্যাতন, নতুবা ধরিয়ে দেয়া হয় পুলিশের কাছে। তাদের এসব কাজে কেউ বাধা দিলে মিথ্যা সংবাদের হুমকি দেয়া হয় এমনকি রজনৈতিক নেতারাও মিথ্যা মামলার ভয় দেখান।
অপর একটি সুত্র থেকে জানা যায়, তামাবিল সড়ক হয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০-৫০টি ট্রাক ভারতীয় বুঙ্গার চিনি নিয়ে সিলেট শহরে ঢুকে। এর মধ্যে কিছু ট্রাক খাদিম বাইপাস হয়ে গোলাপগঞ্জ বিয়ানিবাজারে এবং মোগলাবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার যায়। বাকি ট্রাক সিলেট নগরী ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্হানে যায়।
পিরেরবাজারে প্রায় ৮/১০ জনের একটা গ্রুপ রয়েছে সেই গ্রুপের সদস্যরা ভারত থেকে আসা অবৈধ চিনির স্বাদ নেয়ার জন্য রাত হলেই বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। জাতির বিবেক ও কলম সৈনিক পরিচয় দিয়ে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি করা সাংবাদিকদের কোন আইনে লেখা আছে তা কথিত সাংবাদিকরা বলতে পারবেন। বেশীর ভাগ সময় ঐসব হলুদ সাংবাদিকদের দেখা যায় গলায় কার্ড ও হাতে বুম নিয়ে ঘুরতে। মুলত এরা কোন পত্রিকায় কাজ করে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে অনেকই “নিশাচর” সাংবাদিক বলে ডাকেন!!
এ ব্যাপারে শাহপরান পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম একটা খবর আমাদের কাছে এসেছে। তিনি শাহপরান থানার ওসির সাথে আলাপ করে যারাই এসব কান্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন বলে জানান। তবে তিনি একজন সাংবাদিকের নাম উল্ল্যেখ করে পরে আবার সরি বলে ফোন রেখে দেন। চলবে