বিকাল বার্তা প্রতিবেদক >> জাফলংয়ে পরিবেশসম্মত পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ দানের মানববন্ধনে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা দুইটি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মামলার পলাতক আসামীরা।
বুধবার জাফলংয়ের মামার বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে জাফলংয়ে পাথর কোয়ারি সচলের কথা বলে শ্রমিকদের জড়ো করানো হয়। সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা দুইটি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। আসলে শ্রমিকরা জানতেন না এই মানববন্ধনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে। তাই তাদের ধোঁকা দিয়ে সকলকে মানববন্ধনে উপস্থিত করা হয়। জাফলংয়ে শতকোটি টাকার পাথর লুটপাটের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বাদী হয়ে ৯২ জনকে আসামী করে একটি ও পরিবেশ আদালতে অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ ২২ জনকে আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই দুই মামলায় ১১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে নিরীহ শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে। দুইটি মামলা গোয়াইনঘাট থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে জাফলংয়ে পাথর কোয়ারি সচলের নাটক সাজিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এমনকি তারা বক্তব্যে কঠোর বার্তাও দিচ্ছেন।
জাতীয় দৈনিক রিকাল বার্তাকে
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই দুইটি মামলা পরিবেশ অধিদপ্তর তারা নিজেরাই তদন্ত করবে। কিন্তু পলাতক আসামিরা প্রকাশ্যে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করছে আমি শুনেছি পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করছে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পলাতক আসামী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন, পলাতক আসামী পদবঞ্চিত বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলাম, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম রানা, জাফলং ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি ছবেদ মিয়া, জাফলং বল্লাঘাট পাথর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সিরাজ মিয়াসহ জাফলংয়ের অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ। এখানে বেশির ভাগই পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার আসামি।