1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং : ব্যবসা বাণিজ্য,কাজকর্ম বিঘ্নিত, জনমনে ক্ষোভ - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৩:৪২|
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।  সভাপতি রিপন মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। বিশ্বম্ভরপুরে”জয়কুলের”উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। দিনাজপুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ  বীরগঞ্জে ৩৯৫কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার! আজ মতিয়ারা মুক্তার জন্মদিন মর্যাদার শোকজ খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার শেরপুর জেলায় মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং : ব্যবসা বাণিজ্য,কাজকর্ম বিঘ্নিত, জনমনে ক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪,
  • 49 জন দেখেছেন

 

বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা:

খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ফলে গরমে মানুষ অতিষ্ঠ এবং বিদ্যুৎ নির্ভর সব কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিল্প কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনার অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং আরও বেশি।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, বরিশাল বিভাগের ৩ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।

সংস্থাটির নগরীর বয়রা এলাকার প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এই ২১ জেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। এরমধ্যে শুধুমাত্র খুলনায় গ্রাহক আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার।

২১ জেলায় ওজোপাডিকো’র আওতাধীন এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬৫৯ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৫৬০ মেগাওয়াট, অর্থাৎ লোডশেডিং ছিল ৯৯ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শুধুমাত্র খুলনাতেই লোডশেডিং ছিল ৪৫ মেগাওয়াট। এছাড়া বরিশালে ১১ মেগাওয়াট, গোপালগঞ্জে ৫, নড়াইলে ২, মাগুরায় ৩, সাতক্ষীরায় ২, কুষ্টিয়ায় ৬, চুয়াডাঙ্গায় ৫, ফরিদপুরে ৬, রাজবাড়িতে ৪, মাদারীপুরে ৪, শরীয়তপুরে ২ ও ঝালকাঠিতে ৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।

নগরীর দৌলতপুরে কয়েকটি উৎপাদন মুখী কারখানার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিদ্যুৎ সরবরা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সঠিক সময়ে মালামাল ডেলিভারি দিতে পারছেন না।

নগরীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটের দোকানি ইয়াকুব আলী বলেন, ২ দিন ধরে দিন-রাতে সমানে লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের সময় বেচাকেনা বিঘ্নিত হয়।

নগরীর লোয়ার যশোর রোডের ফটোস্ট্যাট দোকানি কামরুল হাসান বলেন, ২ দিন ধরে লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিংয়ের সময় কম্পিউটারের কাজ এবং ফটোকপি করতে পারছি না।

দাকোপ উপজেলার গুনারি গ্রামের সাব্বির হেসেন বলেন, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ বা ৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমেও ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে আসে না।

ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের কলেজছাত্র দিদারুল আলম বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, লোডশেডিং হলে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোল্ড স্টোরেজে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। লোডশেডিং চলাকালে জেনারেটর চালিয়ে রাখতে বাড়তি ব্যয় হয়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওজোপাডিকো’র একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। সে কারণে ঘাটতিপূরণে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটা শুধু খুলনা অঞ্চলে নয়, আরও অনেক জেলায় হচ্ছে।

জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ : মহানগরীসহ ওজোপাডিকো’র আওতাধীন পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে ঘন্টায় ঘন্টায় ব্যাপক লোডশেডিং এ জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিগত তিনদিন ধরে চলমান লোডশেডিং-য়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে। কেন এরকম লোডশেডিং হচ্ছে এবং কতদিন ধরে চলবে এ বিষয়ে জনগণ কোন ধারণা না পেয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছে। অথচ ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কোন বিবৃতি দিচ্ছে না বা জনগণকে অবহিত করছে না। ফলে জনগণ ধারণা করছে, এ ধরনের লোডশেডিং ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে বিদ্যুৎ সেক্টরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বার্থান্বেষী মহলের গভীর কারসাজি।

দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও লোড ম্যানেজমেন্ট-এর মাধ্যমে লোডশেডিং হ্রাসের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল মালেক, সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সাহেব আলি, মহাসচিব রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, পরিষদের নেতা এস এম আকবর হোসেন, আফরোজা আক্তার মঞ্জু, এ্যাড. শহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর খান, সরদার আবু তাহের, সাংবাদিক এস এম রাসেল আমিন প্রমূখ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!