এম হোছাইন আলী
(কক্সবাজার)কুতুবদিয়া প্রতিনিধি।
বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারে হানা দিয়ে ১৯ জেলেকে অপরহণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। সেই সময় জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে ট্রলারটির মাঝি মো. মোকাররম হোসেন নিহত হন। এদিকে, এখনো পর্যন্ত অপহৃত ১৯ জেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি জলদস্যুরা।
০৭ নভেম্বর /২৪ বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ২টার দিকে মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাঁশখালী উপজেলার মো. ইসমাঈল হোসেনের মালিকানাধীন ‘আল্লাহর দয়া’(৩) নামের মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারটি মাঝি-মাল্লাসহ ২১ জনকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ট্রলারটিতে জলদস্যুরা হানা দেয়। এ সময় জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে মাঝি মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় ওই ট্রলারটিসহ ১৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন, উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন ও মনছুর আলম, জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম ও রুহল আমিন, চাটির পাড়ার নাছির উদ্দীন, শাহজাহান, সায়েদ,তৌহিদও আব্বাস উদ্দিন, কাইছার পাড়ার শুনাইয়া ও রেজাউল করিম, ফরিজ্যার পাড়ার মেহেদী হাসান, সাকিব, ইদ্রিস ও নয়ন, কুইলার পাড়ার সাগর, একই উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের কালু এবং নোয়াখালীর একজন।
নিহত মোকাররম হোসেন কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মৃত জাফর আহমেদ সিকদারের ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩নং ওয়ার্ড়ের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা আক্তারের স্বামী।
মাছ ধরার ট্রলারটির মালিক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় তার ট্রলার বাঁশখালী উপজেলা থেকে ২১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে যায়।
হঠাৎ জলদস্যুদের আক্রমণে মাঝি মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি জানান, পরে জলদস্যুরা তাদের ট্রলারে করে একজন জেলের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ মোকাররম হোসেনকে উপকূলে পৌঁছে দেয়। এরপর গুলিবিদ্ধ মোকাররম হোসেনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত ১৯ জেলে ও ট্রলারের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মরদেহ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন জেলেরা।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল সংগ্রহ করেছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত মোকাররম মাঝির ৪ মেয়ে ও ৬ মাস বয়সী ১পুত্র সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাত ৯ টায় মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।