স্টাফ রিপোর্টার,মোঃ গোলাম মোরশেদ পাঁচবিবি, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের গনাই মাগুরা গ্রামের এক কৃষকের প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় হাসানুজ্জামান ওরেফে রতন নামে কৃষক বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পাঁচবিবি উপজেলার ফেনতারা গ্রামের হাসানুজ্জামান ওরেফে রতনের সঙ্গে একই উপজেলার গনাই মাগুরা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজার রহমানের সঙ্গে জমিমজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালের দিকে বিবাদী হাফিজার রহমান ১০/১৫ জন শ্রমিক লাগিয়ে গনাই মাগুরা গ্রামের ফসলের মাঠে গিয়ে ভুক্তভোগীর লাগানো প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কাটতে শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী রতন জমিতে গিয়ে তাদের ধান কাটতে নিষেধ করলে তাকেও বিভিন্ন প্রকারের ভয়ভীতি দেখায়।
ভুক্তভোগী হাসানুজ্জামান ওরেফে রতন জানান,
জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাফিাজারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের একটা ঝামেলা চলে আসছিল। এরই জেরে সকালের দিকে হাফিজার ১০/১৫ জন শ্রমিক নিয়ে গিয়ে গনাই মাগুরা গ্রামে আমার প্রায় ২ বিঘা জমিতে লাগানো ধান কাটতে শুরু করে। কিন্তু ওই ২ বিঘা জমি গনাই মাগুরা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম ও বাবু নামে দুজন কৃষকের কাছে আমার জমি দেওয়া আছে। তারাই ধান লাগিয়েছে। ধান কাটা মাড়াই শেষে তারা আমাকে অর্ধক ধান দিবে। সেই জমিতে হাফিজার রহমান দলবল নিয়ে গিয়ে ধান কাটতে শুরু করলে আমি গিয়ে বাঁধা দেই। তখন তারা আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বর্গাচাষী সাজেদুল ইসলাম ও বাবু জানান, পাঁচবিবির ফেনতারা এলাকার হাসানুজ্জামান ওরেফে রতনের কাছ থেকে প্রায় ২ বিঘা জমি আমরা বর্গাচাষ হিসেবে নিয়েছি। জমিতে হালচাষ ও ধানের চারাও আমরাই লাগিয়েছি। এখন কয়েকদিন পর ধান কাটবো ঠিক সেই মুহূর্তে হাফিজার রহমান ১০/১৫ জনের দলবল নিয়ে এসে জমির ধান কাটা শুরু করে। পরে বিষয়টি জমির মালিককে জানালে তারা এসে বাঁধা দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফিজার রহমানের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়ীর প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। একারনে তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কাওসার আলী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।