1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
জয়পুরহাটে আলুর পরে উচ্চমুল্যে সার বিক্রয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস, আইনি প্রক্রিয়া স্থবির।  - Bikal barta
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বুধবার| রাত ২:৫৮|

জয়পুরহাটে আলুর পরে উচ্চমুল্যে সার বিক্রয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস, আইনি প্রক্রিয়া স্থবির। 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪,
  • 27 জন দেখেছেন

 

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে একের পর এক আলুর বীজের উচ্চ মুল্য, কৃষকদের আলুর সংকট দেখিয়ে ঠান্ডা মাথায় শোষণের পরে এবার রক্তচোষার মত চুষতে শুরু করেছে সার ব্যাবসায়ী ডিলাররা।

 

মৌসুমের শুরুতে জয়পুরহাট জেলার প্রান্তিক কৃষক আগাম আলু বপনের জন্য মরিয়া হয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। এরি মধ্যে কিছু অসাধু সার ব্যাবসায়ী ডিলাররা অনিয়ম করে অধিক টাকা চুষতে শুরু করেছে কৃষকদের কাছ থেকে।।

 

জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্রি বাজারে “মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্স” এ চলছে উচ্চ মুল্য সার বিক্রয়ের ধুম। এ যেন ছুড়ি ছাড়াই কৃষকের গলা কাটার মত অবস্থা। স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ গুদামে মজুদকৃত সার, সারের কোন সংকট নেই। এর পরে ও সার দিচ্ছেন না ডিলাররা। সেই সাথে দিনের ১২ ঘন্টার মধ্যে ২ ঘন্টা সময়ে চলছে সার কেনা- বেচা, সেটিও মানুষ ভেদে। এমনি অভিযোগ এনেছেন “মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্স” এর মালিক আব্দুল হান্নান মন্ডল এর বিরুদ্ধে।।

 

চলতি মৌসুমে কৃষকের সুবিধার্থে সারের সরকারি রেট বেধে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ফসফেট(TSP)১৩৫০ টাকা দরে, পটাশ (MOP) ১০০০/ ১০৫০ টাকা দরে, ডেপ(DAP)১০৫০ টাকা ও ইউরিয়া সার ১৩৫০ টাকা দর বেধে দেওয়া হয়েছে।।

 

 

তবে “মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্স” এ চলছে তার বিপরীত TSP সার ১৫৫০ টাকা MOP সার ১১৫০ টাকা DAP ১২৫০-১২৭০ টাকা ও ইউরিয়া সার ১৪০০- ১৪৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।।

 

এ বিষয়ে উপজেলার ভারাহুত গ্রামের কৃষক খোশবর রহমান (৩৯) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জমিতে হাল চাষ শেষ। এখন সারের জন্য অপেক্ষা, কিন্তু গত ২ দিন থেকে দোকানে ঘুরতেছি, ডিলার আব্দুল হান্নান বলেন, এই মুহূর্তে সার নেই, এ ছাড়া সারা দিনে ২ ঘন্টা খোলা পাইনা। আজ সার দিতে চেয়েছে, সার এর দাম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু আগে ৭০০০ টাকা মেমো করলাম সার আগামী কাল শুক্রবার দিতে চাইছে। সারের রেট কত জানতে চাইলে চাষি খোশবর বলেন, ২ বস্তা ফসফেট(TSP)১৫৫০ দরে= ৩১০০ টাকা, ২ বস্তা পটাশ (MOP) ১১৫০ টাকা দরে =২৩০০ টাকা ৫ ধারা ইউরিয়া কত ধরেছে বলতে পারছিনা। সাথে জিংক, দস্থা নেওয়া হয়েছে।।

 

এ সময় সারের মেমো দেখতে চাইলে খোশবর বলেন, এখানে কোন মেমো দেয়না।

 

এদিকে শিরট্রি গ্রামের ইসা আলেক(৩৮) বলেন, প্রথমে আলুর সংকট যাইবা পেলাম মনে হল আসমানের চাঁদ হাতে পেয়েছি। কিন্তু এবার সারের সংকট অনিয়ম এসবের কারসাজিতে মাথায় কিছু আসেনা। এগুলো অনিয়ম আমরা কৃষক যাব কোথায়।

 

এ ছাড়া উক্ত বাজারের কিটনাশক ব্যাবসায়ী ফেরদৌস রহমান (৩৫) বলেন, আমার সারের ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কিন্তু আমি সার উঠায়না। তবে বাজারে যা হচ্ছে সেটি মেনে নেওয়ার মত না। এগুলো দুর্নীতি, সরকারি রেট যা সেটার ভেতরেই ডিলারের লাভ বিদ্যমান, এর পরে ও অধিক মুনাফার আসায় অনিয়ম ও কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছে।।

 

এ ছাড়া সাংবাদিক দের দীর্ঘ ৪ ঘন্টার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সার বহনকারী ভ্যান চালক সার ও সারের দাম নিয়ে মুখ খুলছেন না। অপর দিকে চাষীরা আগাম আলু বপনের জন্য সার সংগ্রহে অধিক অর্থ গোনার পরেও নিরুপায় হয়ে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।।

 

জানা গেছে “মেসার্স মাসুদ ট্রেডার্স” এর মালিক আব্দুল হান্নান মন্ডল বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের একটি পদে আছেন। এমন অনিয়মের অভিযোগে ও সাংবাদিক দের উপস্তিতি টের পেয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সারের কোন সংকট নেই। কৃষক সরকারি রেটে সার পাচ্ছে এ সময় সারের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফসফেট(TSP)১৩৫০ টাকা দরে, পটাশ (MOP) ১০০০টাকা দরে, ডেপ(DAP)১০৫০ টাকা ও ইউরিয়া সার ১৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।।

 

সার ক্রয়ের রশিদ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, সব আছে আমরা মেমো করে দিচ্ছি সবাইকে।

সাধারণ কৃষকের দাবি এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন নিরব, প্রশাসন কবে জনগণের সমস্যা দেখবে। তারা বেতন খাচ্ছে সরকারের আর কৃষকের মাথায় কাঠাল ফেটে খাওয়ার পরে প্রশাসন আসবে সান্ত্বনা দিতে।

 

এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান সাংবাদিক কে মুঠোফোনে জানান, বিষয় টা জানতে পারলাম, তবে কৃষি অফিসার এর সঙ্গে কথা বলে বিষয় টি আমলে নেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে পরবর্তীতে পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার মো: লুৎফর রহমান এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, বিষয় টি নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছে। তবে ডিলাররা বর্তমান পরিস্থিতিতে সারের মুল্যে ১০ বা ২০ টা প্রতি বস্তায় কম বেশি করতে পারে সেটি আমাদের জানিয়ে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ নিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।। অতি তারাতাড়ি আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করব বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!