স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেকি মাহমুদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সি এইচ সিপি পদে কর্মরত নিজাম নুরের দায়িত্ব পালনে অবেহলা,সরকারী ঔষধপত্র অন্যত্র বিক্রি করাসহ তার অপসারনের দাবীতে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ই জানুয়ারী রবিবার বিকেলে সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ হোসেন বরাবরে এই অভিযোগটি দায়ের করেন জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখাািল ইউনিয়নের ফেকি মাহমুদপুর গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাক্তি। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সাধারন মানুষের দৌঁড়গড়ায় পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে ফেকি মাহমুদপুর চৌরাস্তার মোড়ে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। এই ক্লিনিককে ঘিরে ভীমখালী ইউনিয়নের ফেকুল মাহমুদপুর,চান্দে নগর,ফেরানগর,কান্দাগাঁও,মাহমুদপুর,ছেলাইয়া,মানিগাঁও,শ্রীপুর,গোলামীপুর, ছোট ঘাগটিয়াসহ দশটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য এই ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এই ক্লিনিকে ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী ছেলাইয়া গ্রামের মিরাশ আলীল ছেলে মোঃ নিজাম নুর সি এইচ সিপি পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। এই ক্লিনিকে মোট তিনটি পদের মধ্যে এইচ এ পদে নাসিমা সুলতানা ও এফ ডব্লিউ এ পদে গীতা রানী তালুকদার কর্তরত রয়েছেন। এই ক্লিনিকের পুরো দায়িত্ব নিজাম নুরের কাছে থাকলে ও তিনি দুই সপ্তাহে অথবা মাসে একদিন ক্লিনিকে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় তিনি পুরো মাসের হাজিরা (স্বাক্ষর)দিয়ে বেতনভাতা নিয়মিত উত্তোলন করলে ও বিষয়টি যেন কারো নজরেই আসছে না। সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রচুর পরিমাণ ঔষধ বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য দিয়ে থাকলে ও এই নিজাম নুর সরকারী ঔষধগুলো ক্লিনিক থেকে পাচার করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন বলে এমন অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজাম নুর এলাকাভিত্তিক শক্তিশালী হওয়ায় এবং একজন সংসদ সদস্যর চত্রছায়ায় থেকে তিনি তার কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকলে এলাকার স্থানীয় গরীব,কৃষক এবং দিনমুজুররা তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। সুনামগঞ্জের কয়েকজন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও তাকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। নিজাম নুর কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকার কারণে এলাকার অনেক অসুস্থ সাধারন নারী,শিশু ও বৃদ্ধা রোগীরা এই ক্লিনিকে এসে মাঝে মাঝে এইচ এ পদে দায়িত্বে থাকা নাসিমা সুলতানা ও এফ ডব্লিউ এ পদে দায়িত্বে থাকা গীতা রানী তালুকদারকে পাওয়া গেলে ও ক্লিনিকের সি এইচ সিপি পদে থাকা ইনচার্জ নিজাম নুরের দেখা পুরো মাসেও একবার মিলেনি এমন অভিযোগ এলাকার সাধারন মানুষের । নিজাম নুর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছেন। কর্মস্থলে সে না আসলে ও কেউ তার কিছুই করতে পারবে না বলে তিনি এলাকায় অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন আচরণ ও কর্মস্থলে না থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি ফেকি মাহমুদপুর এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে তাকে অপসারনের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমি নিরুপায় হয়ে এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে নিজাম নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে ফেকি মাহমুদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ইনচার্জ সি এইচ সিপি মোঃ নিজাম নুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে ফোনের লাইনটি কেটে দেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।