স্টাফ রিপোর্টারঃ- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক শেখ রানার এ্যাপাচি আরটিআর 4v মোটরসাইকেল ভাংচুর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ ৬-৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ইট পাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে।
২০ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী উপজেলা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নের জামায়াত সমর্থিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অনাস্থার অভিযোগ দেয় ওই ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যরা। সেই অনাস্থা আনার বিষয়টি আজ উপজেলা পরিষদে সমঝোতা হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া রুপ নেয় রণক্ষেত্রে।
পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডল (মারো) বলেন,জামায়াতের ছোড়া ইটের আঘাতে আমাদের ৪-৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে ও ৮ টি মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতের আমির ও ১ নং কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইট পাটকেলের আঘাতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।