মোঃশাহেদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজারের টেকনাফে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে হ্নীলা দরগাহ পাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। শিশুকে অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা চলছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, বুধবার মধ্যরাতে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিমের বাড়ী দরগাহ পাড়ায় অভিযানে যায় পুলিশ।
এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম তার ভাই সাইফুল করিমকে ধরতে না পারলেও ঘরে থাকা শিশু স্কুল পড়ুয়া তৌসিফুল করিম রাফিকে (১৫) আটক করে।
পরে তাকে নিয়ে প্রতিবেশি প্রবাসীর ঘরে অভিযান চালায়। তখন ওই ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ৪০ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করেছে বলে দাবী করেন ওসি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মুলত শিশুর রাফির বাবা রেজাউল করিম চিহ্নিত সন্ত্রসী ও ইয়াবাকারবারের সাথে জড়িত। প্রবাসী প্রতিবেশীর ঘরে তার অস্ত্র মজুদ করে রেখেছিল।
জানান, শিশু রাফিকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কিন্তু যে প্রবাসী প্রতিবেশির ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে দাবী করেছে পুলিশ, তার স্ত্রী সফিদা জানান, রাতে রাফিকে ঘর থেকে ধরে আনে। তারপর তার ঘরের দরজা খুলে সরাসরি ঘরের আলমারী থেকে কতগুলো অস্ত্র বের করে উদ্ধার দেখায় পুলিশ।
সফিদার দাবী তিনি নিজেও জানেন না আলমারিতে অস্ত্র আছে। এটি ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন এই গৃহবধু।
একজন স্কুল ছাত্রকে অস্ত্র দিয়ে আটককে পুলিশের নাটক দাবী করেছে রাফির পরিবার। তারা শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরিবারের প্রশ্ন, রাফির বাবা যদি পুলিশের চোখে অপরাধী হয় তবে, তার শিশু সন্তানকে মিথ্যা নাটক করে আটক করতে হবে কেন।
এদিকে শিশু স্কুল ছাত্র তৌসিফুল করিম রাফিকে আটকের ঘটনায় সব শ্রেণীর মানুষ সমালোচনা করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ন্যাটিজেনদের বক্তব্যের সারমর্ম, পিতার দোষে কেন অবোঝ শিশু অপরাধী হবে।