এম এইচ মুন্না: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) রাজধানীর উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমানে রাজউকের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে গতিশীলতা এবং সেবায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে রাজউক এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জনগণের প্রতিক্রিয়া
রাজউকের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে বেশিরভাগই চেয়ারম্যানের কাজের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, “আগে রাজউকের সেবা পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই জমির নকশা অনুমোদন বা অন্যান্য সেবা পাওয়া যাচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেব সত্যিই অসাধারণ কাজ করছেন।”
অন্যদিকে উত্তরা এলাকার ব্যবসায়ী সুমনা বেগম জানান, “রাজউকের কাজের স্বচ্ছতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো কমে গেছে, যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।”
রাজউকের চেয়ারম্যানের লক্ষ্য ও উদ্যোগ
এব্যাপারে মুঠোফোনে রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি রাজউককে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে। জনগণের সেবা যেন সহজ এবং হয়রানিমুক্ত হয়, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি সেবা পদ্ধতি হবে জবাবদিহিতাপূর্ণ।”
সফল প্রকল্পগুলো
মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে রাজউক ইতোমধ্যেই বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
ডিজিটাল সেবা: জমি বরাদ্দ ও নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটালাইজ করা হয়েছে, যা নাগরিকদের হয়রানি কমিয়েছে।
নগর উন্নয়ন: ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প: ঢাকার জনসংখ্যার চাপ কমাতে নতুন আবাসন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সেবার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা
রাজউকের একজন কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যানের কড়া নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতি অনুসরণের ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রমে গতি এসেছে। তিনি বলেন, “সেবাগ্রহীতাদের যে কোনো অভিযোগ চেয়ারম্যান স্যার নিজেই গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। তার নেতৃত্বে দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলার কাজ অনেকটাই সফল হয়েছে।”
গুলশানের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, “আমরা চাই চেয়ারম্যান স্যার আরও বেশি সময় রাজউকে দায়িত্ব পালন করুন। তার নেতৃত্বে ঢাকার উন্নয়ন বহুগুণ বাড়বে।”
রাজউকের চেয়ারম্যানের উদ্যোগগুলোতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।