বিকাল বার্তা প্রতিনিধি>>
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় শ্রীখেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেকে সাধারণ সম্পাদক মো.ফরিদ আহমদ মহান বিজয় দিবস পালন উপলেক্ষ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়েছেন। যার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সেই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তাকে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নজরে এলে প্রধান শিক্ষক ফারিদ আহমদকে শোকজ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চ:দা:) মো.আবেদ হোসেন।
জানা যায়, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ৪ নাম্বার দরবস্ত ইউনিয়নের শ্রীখেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকালে অ্যাসেম্বলির সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ফরিদ আহমদ ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষদ্ধ হন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্লোগানের ভিডিও মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে রাজনৈতিক স্লোগান। অভিভাবকের প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা শিখছে কি? এখন এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোস্তাক আহমদ বলেন, শিক্ষক ফরিদ আহমদ ৪ বছর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাধক ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদের আত্মিয় হওয়ায় লভিং করে শিক্ষক হন তিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই শিক্ষক ছাত্রদের নিয়ে এমন করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ফরিদ আহমদের মুঠোফনে একাদিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চ:দা:) মো.আবেদ হোসেন বলেন, বিজয় দিবসের এই দিনে শিক্ষক ফরিদ আহমদ নিজেই শিক্ষার্থীদের দিয়ে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এসময় একটা লোক ভিডিও করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে। তার এই স্লোগানে গোটা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, এই ঘটনাটি আমি ফেসবুকে জানতে পেরে প্রধান শিক্ষককে শোকেজ করেছি। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না যাওয়ার জন্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া অন্য যারা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।