1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
রায়গঞ্জে তীব্র শীতে পুরোনো কাপড় কেনার ধুম - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| রাত ৪:৫৪|

রায়গঞ্জে তীব্র শীতে পুরোনো কাপড় কেনার ধুম

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪,
  • 33 জন দেখেছেন

 

হৃদয় আহমেদ লিমন

রায়গঞ্জ, উপজেলা প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠান্ডা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পুরোনো কাপড় কেনার ধুম পড়েছে।উপজেলার ভূঁইয়াগাতী, চান্দাইকোনা,নিমগাছীসহ ৯টি ইউনিয়নের প্রধান প্রধান বাজারের রাস্তার ধারে  মূলত জমে উঠেছে পুরোনো কাপড়ের বেঁচা কেনা। বিক্রেতারা কাপড় বিক্রির জন্য হাঁক-ডাক ছাড়ছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে।বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, শাল, ট্রাউজার, ফুলহাতা গেঞ্জি ও হুডিসহ শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের এসব দোকান গুলোতে। সাইজ অনুযায়ী দামও আলাদা। এক-দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে‌ চারশত’ টাকা দামের শীতের পোশাক মিলছে এসব দোকানে। এছাড়া হাত মোজা, কানটুপি ও ছোট শীতের পোশাক মিলছে ১০০ টাকার ভেতরেই।প্রায় সপ্তাহ ধরে কনকনে ঠান্ডার গরম পোশাকের চাহিদা এখন তুঙ্গে।

 

উপজেলার  বড় বড় শপিংমল এবং ফুটপাতের দোকান সব জায়গাতেই ক্রেতার ভিড়। বিক্রিও হচ্ছে হরদম। তবে চাহিদা থাকায় শীতের পোশাকের দাম এবার বাড়তি। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে বেশিরভাগ ক্রেতাই পুরাতন কাপড়ের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে বেশি ঝুঁকছেন। কিনছেন পছন্দের শীতবস্ত্র। বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি দোকানিরাও।ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। ফলে বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়েরও কদর। শীত থেকে রক্ষা পেতে নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড় কিনতে ভিড় করছেন অনেকে। তবে এবার গরম কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় অনেকে বেকায়দায় পড়েছেন।দিনমজুরের কাজ সেরে বিকেলে  বাজারে  পুরোনো শীতের পোশাক কিনতে আসেন অনেকেই। শুধু অল্প আয়ের মানুষরাই নয়, কেনাকাটা করছেন মধ্যবিত্ত পরিবারসহ অনেকেই।

শ্যামনাই এলাকার পোশাক বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার বলেন, প্রতি বছর শীতের সময় আমি এখানে শীতের কাপড় বিক্রি করি। মূলত শীত বাড়লে আমাদের বেচাকেনা অনেক বেড়ে যায়। হঠাৎ করে শীত নামায় আমাদের ফুটপাতের দোকান গুলোতে বিক্রি বেড়েছে।

ফুটপাতের আরেক ব্যবসায়ী মনতাজ মিঞা জানান, নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় আমাদের কাছ থেকেই কিনে। আমাদের কাছ থেকে তারা অনেক কম দামে ভালো মানের পণ্য ক্রয় করতে পারে। শো-রুমের দামের সঙ্গে আমাদের দামের ব্যবধান অনেক। তাই বলা যায় নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটার ভরসাস্থল হচ্ছে আমাদের এই ফুটপাতের দোকান গুলো ।

 

শীতের কাপড় কিনতে আসা কলেজ পড়ুয়া ইয়াস মাহবুব লিটন বলেন, আমরা অল্প আয়ের মানুষ। বড় বড় শপিংমল থেকে শীতের পোশাক কেনার সামর্থ না থাকাতে ফুটপাত থেকেই কাপড় কিনতে এসেছি। শীত নিবারণের জন্য এখানে মোটামুটি ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়।

 

চান্দাইকোনা এলাকায় ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা লিমন আহমেদ নামে আরেকজন বলেন, আমি সব সময় ফুটপাত থেকে জামা-কাপড় কিনে থাকি। কম দামে মোটামুটি ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। আমি নিজের জন্য ৬০০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট ক্রয় করেছি। তবে ফুটপাতে কিছু কিনলে পলিতে দেয় আর মার্কেটে শপিং ব্যাগ এটুকুই পার্থক্য। আমি মনে করি ফুটপাত থেকে কিনলে আমাদের অনেক সাশ্রয় হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!