বিশেষ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার মামলা নং-২৭ (০৩) ২০১২, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০০৩) এর ৯ (৩) মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মহিউদ্দিন বাবু চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১৬৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মহিউদ্দিন বাবু (৩৫), পিতা-মোঃ কামালা উদ্দিন, সাং-বন্দরটিলা, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১২ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল। উল্লেখ্য যে, গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ওবায়দুল হক প্রকাশ রাজু চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার পূর্বক থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।