মোঃশাহেদুল ইসলাম।
স্টাফ রিপোর্টার:
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলে পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগ সরকারের নির্ধারিত কোটায় চাকরি পাওয়া কক্সবাজার সদর চৌফলদন্ডি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ শফিউল করিম।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অন্তর্ভুক্ত বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির যেসব বিএমসিএফ। ও বীচ কর্মীর সদস্যরা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম সদস্য হয়েছে। স্বৈরাচারের প্রভাবশালী নেতা মোঃ শফিউল করিম।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের কক্সবাজার জেলার নেতা জনাব মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর ভাতিজা পরিচয় দিয়ে ও কক্সবাজার মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা এমপির ডান হাত পরিচয় দিয়ে গড়ে তুলেন সমুদ্র সৈকতে মাদক ও টাকার বাণিজ্য ।
গত ৫ এই আগস্ট এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায়. বীচ কর্মীর সদস্য মোঃ শফিউল করিমের দুর্নীতি ও অভিযোগের কারণে চাকরি দুই বার চলে যায়। পরে সাথে সাথে কক্সবাজার মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খানিজ ফাতেমা এমপির নেতৃত্বে তার চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে পাই।
গত এক বছর আগে কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এক সদস্য কে গাড়ি পার্কিং করার কারণে শফিউল করিম তাকে মারধোর করে। পরের শফিউল করিমকে টুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে নিয়ে গেলে।সাথে সাথে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শফিউল করিমের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও অভিযোগ।
কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট হইতে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সকল ব্যবসায়ী শফিউল করিম কে দিতে হতো চাঁদা। সমুদ্র সৈকতের যেসব হকাররা রয়েছে। তাদের অভিযোগ শফিউল করিম তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা হইতে ২০০ টাকার চাঁদা নিতো।
তাকে চাঁদা না দেওয়া হলে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের মালামাল জব্দ করা হইতো।সমুদ্র সৈকতে যেসব ক্যামেরাম্যান রয়েছে তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়াহয়তো মাসিক ১৫০০ টাকা করে. সৈকতের ফটোগ্রাফরা তাকে চাঁদা না দিলে তাদের ক্যামেরা জব্দ করে পরবর্তীতে টাকা দেওয়া হলে ছেড়ে দেওয়া হতো.
গত কয়েকদিন আগে কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্টে তথ্য কেন্দ্রে শফিউল করিম ডিউটি থাকা অবস্থায় সৈকতে যেসব অবৈধ ক্যামেরা রয়েছে তার নিজ দায়িত্বে 15 টি অবৈধ ক্যামেরা জব্দ করে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জনাব তানভীর হোসেন স্যার এর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ টি অবৈধ ক্যামেরা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা থাকলো জমা দেওয়া হয়নি শফিক করিমের নেতৃত্বে এসব অবৈধ ক্যামেরা। কিন্তু ছেড়ে দেওয়া হইছে প্রতিপিছ ক্যামেরা ৫০০ টাকার বিনিময়ে।
তৎকানীক সন্ধ্যা ছয়টায় আমি গণমাধ্যম কর্মী হয়ে জেলা প্রশাসকের তথ্য কেন্দ্রয় গোপনীয় সূত্রে খবর পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হই। তখন আমি শফিউল করিমের কাছ থেকে যখন জানতে চাইলাম অবৈধ ১৫ টি ক্যামেরার বিষয় নিয়ে। তখন আমার প্রশ্নের জবাবে শফিল করিম আমাকে বলেন। কলাতলী পয়েন্টে তার ডিউটি থাকা অবস্থায় কোন সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য গেলে শফিউল করিমের অনুমতি নিতে হবে বলে জানান। তখন তার সাথে বাড়াবাড়িতে না গিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসি।
কিন্তু ঠিক তারপরের দিনেই শফিউল করিমের ডিউটি চেঞ্জ হয়ে দরিয়ানগর প্রেসিডেন্ট বীচে তাকে বদলি করা হয়। কিন্তু সাতে সাতে আমরা শফিউল করিমের কাছ থেকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করি।শফিউল করিমের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারণে আমরা তার কর্মস্থল দরিয়া নগর প্রেসিডেন্ট বীজে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেখানে তার ডিউটি থাকার কথা ছিল সকাল ৫ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। কিন্তু আমরা ওখানে গিয়েই তার সাড়া পাইনি। সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।
তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার সদর চৌফলন্ডি ইউনিয়নে ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে স্থানীয় লোকজনের সাথে আমরা কথা বলে জানতে পারি। সে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতা কিভাবে জেলা প্রশাসকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে চাকরি করতে পারে।
সমুদ্র সৈকতে রয়েছে শফিউল করিমের বিশাল বাহিনী
তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন আওয়ামী লীগে রাষ্ট্রদ্রোহী নেতা দের কে কক্সবাজারের আশ্রয় দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে তাদেরকে স্থান দিয়েছে বলে আমরা গোপনীয় সূত্রে জানতে পারি।
আমরা এই বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের মান্যবর জেলা প্রশাসক। জনাব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্যার এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তানভীর হোসেন স্যারের নেতৃত্বে অতি শীগ্রই একটি তদন্ত টিম গঠন করে। সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য রক্ষার্থে। আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল করিমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করি।