স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের টেপুরডাঙ্গা গ্রামের জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন চাচাকে কুপিয়ে জখম করে ভাতিজা। এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায় মোঃ আব্দুর রউফ (৪০)পিতা- মৃত আঃ আজিজ আসামী-১। মোঃ রানা ইসলাম (২৩), ২। মোঃ রনি ইসলাম (২০), উভয় পিতা- মোঃ আজমত আলী, ৩। মোঃ সোহেল ইসলাম (১৯), ৪। মোঃ আলী হোসেন (১৮), উভয় পিতা- মোঃ শহিদ ইসলাম, ৫। মোঃ শহিদ ইসলাম (৪৬), পিতা- মৃত আঃ আজিজ, ৬। মোছাঃ আলেয়া বেগম (৪৩), স্বামী- মোঃ শহিদ ইসলাম, ৭। মোছাঃ সোনা বানু (৪৭), স্বামী-মোঃ আজমত আলী, সকলের সাং- খোকশাবাড়ী টেপুরডাঙ্গা, থানা ও জেলা-নীলফামারীগন আমার বড় ভাই-ভাবী ও ভাতিজা হয়। উক্ত আসামীদের সহিত বাস্তুভিটার জমি জায়গার বিষয় নিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন ইং- ৩০/১২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় আমি আমার বসতবাড়ীর ভিতর মিস্ত্রি দ্বারা নবনির্মিত বসতবাড়ী করাকালে উক্ত আসামীগন বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধভাবে হাতে লাঠি- সোঠা, লোহার রড ইত্যাদি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বসতবাড়ীর ভিতর অনধিকার প্রবেশ করিয়া ঘর উত্তোলন করিতে বাধা নিষেধ করে। আমি ইহার কারন জানিতে চাহিলে আসামীগন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকে। আমি প্রতিউত্তর করায় ৫নং আসামীর হুকুমে অপরাপর আসামীগন আমার ইটের ঘর ভাংচুর করিয়া অনুমান ২,০০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি প্রতিবাদ করিলে সকল আসামীগন আমাকে বাঁশের লাঠি দ্বারা এলোপাথাড়ি মারপিট করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলাফোলা জখম করে। ১নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া ধরে শ্বাসরোধ করতঃ হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আমার স্ত্রী মোছাঃ লাকী বেগম আমাকে উদ্ধারের জন্য আগাইয়া আসিলে আসামীগন বাঁশের লাঠি দ্বারা এলোপাথাড়ি মারপিট করিয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলাফোলা জখম করে। ৫নং আসামী আমার স্ত্রীর পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে আসামীদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। সেই সময় আসামীগন আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। একই তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার বাড়ী থেকে আমার ছেলে মোঃ হুজ্জাতুল্লাহ কে নীলফামারী থানাধীন মানারত মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়ার পথে টেপুরডাঙ্গা স্কুলের সামনে পৌছা মাত্রই উক্ত আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি-সোঠা, ধারালো ছোরা লইয়া আমার পথরোধ করে এবং গালি-গালাজ করিতে থাকে। আমি প্রতিউত্তর করায় ১নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার সামনে বাম পার্শ্বে স্বজোরে চোট মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমার চিৎকারে আমার স্ত্রী আগাইয়া আসিলে আসামীগন আমার স্ত্রীকেও মারপিট করে। আমাদের চিৎকারে সাক্ষী-১। মোঃ ওয়াজেদ আলী, পিতা- মৃত নছিমুদ্দিন, ২। মোছাঃ লাইলী বেগম, স্বামী- মোঃ ওয়াজেদ আলী, ৩। মোছাঃ হাসনা বেগম, স্বামী- মোহাম্মদ আলী, সকলের সাং- খোকশাবাড়ী টেপুরডাঙ্গা, থানা ও জেলা-নীলফামারীগনসহ আরও অনেকে আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে আসামীদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। আসামীগন সাক্ষীগনের সামনে ধারালো ছোরা লাঠি উচাইয়া হুমকি দিয়ে বলে যে, আজ প্রানে বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে আমাদেরকে রাস্তা-ঘাটে একাকি পাইলে খুন করিয়া লাশ গুম করিবে, বাড়ী-ঘরে আগুন লাগাইয়া দিয়া পুড়িয়া মারিবে বলিয়া প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। আমি ও আমার স্ত্রী অসুস্থ্য হইলে সাক্ষীগন আমাদেরকে চিকিসার জন্য অপরিচিত অটোযোগে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করিয়া দেন।