1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তে মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার - Bikal barta
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| সন্ধ্যা ৭:২৩|
সংবাদ শিরোনামঃ
দোকানের টাকা চাইলেন দিনে, রাতে অন্ধকারে খেলেন মাইর  নীলফামারীর ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দখলের মহা উৎসব চলেছে ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫ তুমিই আমার চাঁদ পাবনা ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর তিন ইউপি সদস্য আটক  এম সাইফুর রহমান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হলেন জনাব মিফতাহ্ সিদ্দিকী বীরগঞ্জে ১০শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর অকাল মৃত্যু! জনসম্মুখে চিকিৎসককে ব্যাপক মারধর ভিয়েনা রাজ্য নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেলেন ভোলার কৃতি সন্তান- মাহমুদুর রহমান নয়ন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। 

ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তে মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫,
  • 98 জন দেখেছেন

বিশেষ প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ও তার ঘনিষ্ঠ স্বজন জনৈক কলেজ ছাত্রকে মৌলভী বাজার থেকে ধরে এনে ঢাকা ডিবির মিন্টু রোডস্থ কার্যালয়ে এক সপ্তাহ গুম করে রেখে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। হাইকোর্টে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সাংবাদিক রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকর মামলা দায়ের করলে তা উত্তোলনের জন্য ফ্যাসিস আওয়ামী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাবুদ্দিনের নির্দেশ না মানায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা ডিবির ডিসি মশিউর রহমানকে ধরে আনার নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ডিবির ডিসি মশিউর রহমানের নির্দেশে গত ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ঢাকা থেকে ডিবির বিশেষ টিম মৌলভীবাজার এসে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।পরে উপয়ান্তর না দেখে ঢাকা গুলশান -১ নং গোলচত্তর ডিসিসি মার্কেটের ফাকা জায়গা থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে সুক্ষ পরিকল্পনা করে মিথ্যা, বানোয়াট নাটকীয় ঘটনা সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনালে (মামলা নং ২২১/২০২০ ও ঢাকা সিএমএম আদালতে গুলশান থানার মামলা নং ২৮(৪)২০১৯। জিআর ১২৩/২০১৯) মামলা দায়ের করে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ঢাকার কেরানিগঞ্জ কারাগার থেকে ২ জন জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে মামলা গুলো চলমান রয়েছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, পৈত্রিক জমিজমা নিয়া রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকর গত ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে হাই কোর্টে ১০৬৪৫/২০১৮ নং মামলা দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ মামলাটি আমলে নিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এতে স্বার্থান্বেষী কতিপয় ব্যক্তির পরোচনায় মন্ত্রী ও তার এপিএস কবিরুজ্জামান মামলাটি উত্তোলনের জন্য রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হন। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ডিবির ডিসি মশিউর রহমান কে ফোন করে ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। জমিজমা সংক্রান্ত ঐ মামলাটি বর্তমানে হাই কোর্টে বিচারাধীন আছে।

ডিবির ডিসি মশিউর রহমানের নির্দেশে ঐ দিন বিকেলে ঢাকা ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭/৮ জন ডিবি পুলিশ অতর্কিতে মৌলভীবাজার শহরের দক্ষিণ কলিমাদস্হ বসতগৃহে ঢুকে সব কিছু তছনছ করে সোনা, নগদ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ পুরাতন মুড়া চেক বই, ব্যবহৃত ২ টি চেক বই সহ মূল্যবান জিনিস পত্র লুটপাট করে উল্লেখিত ২ ব্যক্তি কে কালো জম টুপি দিয়ে চোখ মুখ বন্ধ করে ধরে নিয়ে সঙ্গে থাকা সাদা রং এর মাইক্রোবাস যোগে ঘঠনাস্হল ত্যাগ করেন।

ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানা,জেলা ও ঢাকা ডিবি কার্যালয়, সহ অনেক জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে রমা পদ ভট্টাচার্য্যের ভগ্নিপতি তপন চক্রবর্তী হাই কোর্টে স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিবির ডিসি মশিউর রহমান কে বিবাদী করে গুম করে রাখা ২ জনের সন্ধান চেয়ে রীট আবেদনের প্রস্তুতির আগাম খবর ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছে গেলে ২৪ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে ঢাকা গুলশান-১ গোল চত্তর ডিসিসি মার্কেটের ফাকা জায়গা থেকে গুম করে রাখা ব্যক্তিদ্বয় কে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ সকালে রীট আবেদনকারী তপন চক্রবর্তী এফিডেবিট করেন। যার নাম্বার ৩০৪৩১। ঐ (২৫ এপ্রিল) দিন বিকেলে ঢাকা সিএমএম কোটে হাজির করে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করিয়ে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসেন।এই সময় দিন রাত ব্যস্ত থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মামলার স্বপক্ষে সীল মোহর তৈরী, কিডনী ট্রান্সপ্ল্যান্ট জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাহার্য্য জন্য ১০/১২ টি আবেদনে মন্ত্রীর নকল সাক্ষর ও একটি লম্বা মোদি দোকানের হিসাব নিকাশ রাখার খাতায় বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা সহ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নাম ঠিকানা, টাকার পরিমান, তারিখ ইত্যাদি নিজ হাতে লিখেতে রমা পদ ভট্টাচার্য্যকে শংকরকে বাধ্য করেন। এই সময় ৩ জন অফিসার নিজেদের মধ্যে সমালোচনা করেন, মন্ত্রী ফোন করে ধরে আনার জন্য বললেন।আমরা ধরে এনে বন্দী করে রাখলাম। এখন চাপ পড়ছে সব সব দায় ডিবির উপর। যে ধরনের পরিকল্পনা করে মামলা করা হয়েছে তা কোর্টে প্রমান করা যাবে না। প্রতারকরা নগদ টাকা, মন্ত্রী জাল সাক্ষর করা কাগজপত্র ৪০/৫০ টা সীল, ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স ইত্যাদি সাথে নিয়া ফাকা জায়গায় থাকার কোন যুক্তি নেই।ঐ জায়গা না লিখে নির্দিষ্ট একটি বাড়ী বা হোটেলের কক্ষ থেকে গ্রেফতার সহ সরঞ্জাম উদ্ধার লিখে মামলা করলে বিশ্বাস যোগ্যতা থাকত। তাছাড়া মোবাইলে বিভিন্ন এসএমএস ও ল্যাপটপকে নিখুত ভাবে কারসাজি করে প্রমান সংরক্ষন করেন।তা আরো পাকাপোক্ত করতে একটি টিভি চ্যানেলের একজন সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকরকে প্রিন্ট কপি দিয়ে বলা হয়, যে ভাবে লিখা আছে ঠিক সেই ভাবে টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে। এই সময় মাহমুদ নামে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। মাহমুদ নামীয় সাজানো ব্যক্তি নিজেকে রমা পদ ভট্টাচার্য্যে শংকরের সহকারী দাবী করে বলেন, ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা, চেক সংগ্রহ করে কুরিয়ারে পাঠানো সহ বিভিন্ন কাজ তিনি করতেন। কিন্তু কতিত মাহমুদের নাম মামলার এজাহারে নাই। ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ডিবির লিখিত প্রিন্ট করা কাগজ পড়ে মুখস্থ করে হুবহু স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দী রেকর্ড করার পর ২৮ এপ্রিল ২০১৯ আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেন।

ঘটনার বিবরনে আরো জানা যায়, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ সকালে অন্ধকার বদ্ধ কক্ষ থেকে রমা পদ ভট্টাচার্য্যকে বাহির করে সিনিয়র সহকরী কমিশনার সুমন কান্তি চৌধুরীর অফিস কক্ষে নেওয়া হয়। তখন তিনি বলেন,আপনি হাই কোর্টে জমিজমা নিয়ে যে মামলা করেছেন তা বিনাশর্তে উত্তোলনের জন্য আপনার এলাকার মন্ত্রী শাহাবুদ্দিন মহোদয় ও উনার এপিএস কবিরুজ্জামান সাহেব কয়েক বার বলেছেন। কিন্তু আপনি মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ অমান্য করেছেন। তাই আপনাকে বন্দী করা হয়েছে। আপনাকে হাই কোর্ট নিয়ে যাওয়া হবে।আপনার আইনজীবিকে বলে মামলটি উত্তোলন করবেন।আদেশ হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এতে রমা পদ ভট্টাচার্য্য তীব্র আপত্তি জানালে তিনি খিপ্ত হয়ে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। ২০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ মিঃ ভট্টাচার্য্যকে কালো টুপি পরিয়ে চোখ মুখ বন্দ করে ডিবির ডিসি মশিউর রহমানের অফিস কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিবির একজন অফিসার বলেন, আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তাকে ডাকেন। জানিনা আপনার ভাগ্যে কি আছে।এখান থেকে একটি অঙ্গ হানি ছাড়া কোন লোক ফেরৎ আসে না। সেখানে আরেক দফা অমানবিক নির্যাতনের পর ডিসি মশিউর রহমান সুমন কান্তি চৌধুরীকে নির্দেশ দেন, রমা পদ ভট্টাচার্য্যকে রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নিয়ে যেতে আর কলেজ ছাত্রকে ২৫০ গ্রাম হিরোইন দিয়ে মামলা দিতে।এখান থেকে সিড়ি পথে নীচে নামার সময় ঐ অফিসার আবার সিনিয়র সাংবাদিক ভট্টাচার্য্যকে বলেন, আপনার ভাগ্য ভাল। ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ সকালে বদ্ধ কক্ষ থেকে আবার সাংবাদিক রমা পদ ভট্টাচার্য্যকে সুমন কান্তি চৌধুরীর অফিস কক্ষে আনা হয়। তখন তিনি বলেন, আপনার ২ টি একাউন্টে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আছে। এই টাকা উত্তোলন করে দিলে আপনার প্রান রক্ষা হতে পারে। লুন্টিত চেক বই বাহির করে লিখতে বললে, রমা পদ ভট্টাচার্য্য লিখেন। পরে সোর্স সহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার সোনালী ও ব্যাংক এশিয়ার ২ টি শাখায়।সোর্স রমা পদ ভট্টাচার্য্যকে নিয়ে ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে টাকা উত্তোলনের পর সোর্স টাকা নিয়া বাহিরে এসে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার আড়ালে অপেক্ষমাণ ডিবি অফিসারদের নিকট টাকা দেন।

এই ব্যাপারে মৌলভীবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক রমা পদ ভট্টাচার্য্যে শংকরের বোন রেখা চক্রবর্তী জানান, ডিবির লোকরা আমার অসুস্থ স্বামী তপন চক্রবর্তীকে ধরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ভয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে, আমার স্বামীকে রেখে আমার বড় ভাই ও একমাত্র ছেলেকে বলপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন, এসময় তারা অস্ত্রের মুখে আমাদেরকে জিন্মি করে সাড়ে ৬ বড়ি সোনা, নগদ ৩০/৩৫ হাজার টাকা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়।একমাত্র ছেলের চিন্তায় আমার স্বামী গত ১২ জুন ২০১৯ স্ট্রোক করলে বাম সাইড অবস হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন শয্যাসায়ী থাকার পর গত ২৩ মে ২০২০ সালে মারা যান।আর্থিক অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি নাই।আমার বড় মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, এর ছোট মেয়ে মাস্টার্স (কেমেস্টি) পাশ করে ২ বছর যাবৎ বেকার। এর পর এক মাত্র ছেলে চলতি বছর মাস্টার্স (গনিত) পাস করেছে।কিন্তু এখনও কোন চাকুরী পায়নি। সব ছোট মেয়ে কলেজে পড়ছে। ভিটেমাটি কিছুই নেই। যা ছিল সব বিক্রি করে আমার ভাই ও ছেলের জাবিন ও স্বামীর চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে। এখন যৌথ এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি আমার ভাই রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকর।তিনি যে টাকা বেতন পান তা থেকে বাসা ভাড়া, মামলা মোকদ্দমা, ২ বার স্টোকে আক্রান্ত অসুস্থ মা’র চিকিসা খরচ সহ সংসার চালাতে ধার কর্জ করে ঋনের চাপে জর্জরীত। তিনি আরো বলেন, আপনাদের মাধ্যমে মাননীয়, প্রধান বিচারপতি, মাননীয়, প্রধান উপদেষ্টা,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমার ভাই ও ছেলের নামে দায়ের করা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমুলক, মামলা ২ টি দ্রুত প্রত্যাহার, লুন্টিত মালামাল উদ্ধার, অপকর্মকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আদায় এবং আমার মেয়ে ও ছেলেকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ২ টি চাকুরীর ব্যবস্থ্ করে দেওয়া।আমার ছেলে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মামলা ২ টি প্রত্যাহার করার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় ও আইন বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট ডাকযোগে পৃথক ২ টি আবেদন করেছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গুম কমিশনেও আবেদন করেছে। তাছাড়া মাননীয় প্রধান বিচার পতির নিকট স্বপ্রনুদিত হয়ে নিম্ন আদালতের মামলা ২ টি কার্যক্রম স্থগিত ও নথি তলব করে হাইকোর্ট বেঞ্চে এনে সুবিচার প্রার্থনা করে গত ১৩/০১/২০২৫ আবেদন করেছে। আমার ভাই সহ ছেলে মেয়ে কোন দিন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না বা এখনো নেই। পরিশেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আরেকটি আবেদন জানাচ্ছি, আমার ভাই রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকর সাংবাদিকতা করে যে পরিমান বেতন পান তা একেবারেই নগন্য। তাই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্হা (বাসস) এ বিশেষ প্রতিনিধি পদে একটি চাকুরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ গত ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের ঊপদেষ্টা মহোদয়ের বরাবরে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন। এই বিষয়ে আমি উপদেষ্টা মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে মিসেস চক্রবর্তী বলেন, ৩/৪ জনের পড়নের জামায় ডিবি লিখা ছিল।

৯৬ বছর বয়সী সাংবাদিক ভট্টাচার্য্যের অসুস্থ মা আশালতা ভট্টাচার্য্য কান্নাকাটি করে ঘটনার বিবরন দিয়ে বলেন, ভগবান একবেটা আছইন বলিয়াই যারা দুশমনি করিয়া আমার পুয়া ও নাতিরে দোষী বানাইছইন ভগবান অখন বিচার কররা। হকলতাই হুনরাম। আমি ভগবান বেটার দুয়ারে বিচার করবার লাগি ভক্তি দিয়া কইছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঐ দিন আছরের নামাজের আগে সাদা রঙ্গের একটি মাইক্রোবাস থেকে আনুমানিক ৭/৮ জন লোক নেমে ঐ বসতঘরে যায়।তাদের কয়েক জনের পড়নে ডিবি লিখা জ্যাকেট ছিল। কিন্তু কি কারনে এসেছেন তাৎক্ষনিক তা জানতে পারিনি।পরে সব শুনেছি।

গুম ও নির্যাতনের স্বীকার সিনিয়র সাংবাদিক রমা পদ ভট্টাচার্য্য শংকর তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে হাই কোর্টে মামলা করেছি। কোর্ট যে আদেশ দিবেন তা আমি মেনে নিব। ডিবি আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল আমাকে মেরে ফেলার। কিন্তু আমার ভগ্নিপতি হাই কোর্টে সন্ধান চেয়ে রীট করছে আগাম এই খবর পেয়ে ডিবি তাৎক্ষনিক ভাবে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দায়েরের নিখুত পরিকল্পনা করে। আমি ৪৪ বছর যাবৎ সাংবাদিকতা করছি। বর্তমানে বালাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি এবং ফেয়ার নিউজ সার্ভিস(এফএনএস)এর স্পেশাল করসপন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।সাংবাদিকতাই আমার একমাত্র পেশা। এছাড়া আমার বিকল্প কোন আয় নেই। আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করলেও আইন পেশায় জড়িত নয়। আমার বর্তমান বয়স ৬৩ বছর।আমি ১৯৮০ সাল থেকে এই পেশায় আছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা করছি। কিন্তু এত বছরেও উপযোক্ত মর্যাদা পাইনি। জুলাই মাসে ছাত্ররা যখন কৈঠাসংস্কার আন্দোলন শুরু করে তখন তা বেগবন করতে আমি আমার অবস্হান থেকে সাধারন মানুষকে উদ্ভোদ্ধ করে ছাত্রদের সাথে রাজপথে নামতে অনুরোধ সহ যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। আমি ও আমার ঘনিষ্ঠ স্বজনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যা’ ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দু’টি আর্থীক সংকটের কারনে চালাতে অক্ষম। মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় স্বপ্রনুদিত হয়ে নিম্ন আদালতের মামলা দু’টি দ্রুত উচ্চ আদালতে তলব করে সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য বিনীত আবেদন করছি। পরিশেষে বর্তমান সরকার সহ সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার ও সমাজিক সংগঠন, আইনজীবি, বুদ্ধিজীবি সহ সকল সচেতন নাগরিককে আমার ও আমার পরিবারের উপর যে সব অন্যায় অত্যাচার করে আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ভাবে কোনটাসা করা হয়েছে তা থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। যাতে করে আমার হারানো মান সন্মান, মর্যাদা, গৌরব পুনরায় ফিরে পাই এবং আবার আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!