মোঃ মাকসুদুর রহমান রোমান
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুর শহরের নিউমার্কেট রঘুনাথ বাজার এলাকার কোরাইশী কমপ্লেক্সের কেচি গেইটের তালা কেটে মাহি টেলিকম দোকানে ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর ৪ টার দিকে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ১০ সদস্যরা ৫৫টি নতুন এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সেট চুরি করে নিয়ে যাবার সময় রঘুনাথ বাজার থানার মোড়ে সদর থানার টহল পুলিশের দল তাদের আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- শেরপুর সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় রহমান (২৫), লক্ষীপুর জেলার কমল নগর উপজেলার চর সামসউদ্দিন গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৩), চট্টগ্রাম জেলার সন্ধীপ উপজেলার মাইক ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আঃ কুদ্দুসের ছেলে রিয়াজুল (৩৫), কুমিল্লা জেলার মোরাদ নগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন (৩২), একই উপজেলার বিল্লালপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইউনুস (৩৫), ঢাকা জেলার লালবাগ শহীদ নগর এলাকার আবদুলের ছেলে রানা (৩০), একই জেলার লালবাগ এলাকার বাবুলের ছেলে মোঃ ফারুক (২৪), শেরপুর শহরের নৌহাটা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আক্রাম ( ৩৫), গৌরিপুর এলাকার সেলিমের ছেলে বাবু ( ২১) ও খরমপুর এলাকার বাদশাহ মিয়ার ছেলে শিমুল মিয়া (৩৫)।পুলিশ ও দোকান মালিক সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলা শহরের নিউমার্কেট রঘুনাথ বাজার (টাউন হলের বিপরীতে) কোরাইশী কমপ্লেক্সের মোবাইল ফোন ব্যবাসায়ী মাহি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মোঃ কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার সোমবার রাতে তার দোকানের সার্টার তালাবদ্ধ করে চলে যায়। এদিকে ওই আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরদলের ১০ সদস্যরা মঙ্গলবার ভোর রাতে কোরাইশী কমপ্লেক্সের প্রবেশ কেচি গেইটের তালা প্রথমে কেটে ভিতরে ঢোকে। এসময় তারা ওই কমপ্লেক্সের মাহি টেলিকম দোকানের সার্টারের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ৩টি ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে ৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এন্ড্রয়েড নতুন মোবাইল ফোন সেট ভরে নিয়ে যাবার সময় জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার থানার মোড় এলাকায় টহল পুলিশের কর্তব্যরত সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনাল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই চোরদলকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তাদের সাথে থাকা ২টি রড কাটারসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে তিনটি ব্যাগ ভর্তি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মাহি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মোঃ কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার জানান তার দোকানে চুরি হওয়া ৫৫টি নতুন এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট গুলোর আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।