কে এম বেলাল পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: জীবনে সফলতা অর্জন করতে না পেরে আল্লাহ তায়ালার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনটি পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে তারিকুল ইসলাম সুজন (৩৫) নামে এক যুবক। এছাড়াও একাধিক কোরআন শরীফের পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা তিন ওয়ার্ডের মৃত খাইরুল মাস্টারের ছেলে সুজন (৩৫)। সুজন একই ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সুজন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
সুজন মা জাহানারা বেগম জানান, বুধবার পাথরঘাটা বাজার থেকে সাতটি কোরআন শরীফ কিনে আনে সুজন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাসার মালামাল ভাংচুর করেছে সুজন। সুজনের মা আরো জানান, ছাত্রজীবনে মেধাবী ছিল সুজন। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আ’লীগের সময়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছিল। এবং কয়েকবার কারাগারেও ছিল। এরপর পালিয়ে থাকার সময় মাদকাসক্ত হয়ে পরে। তাকে দুইবার রিহ্যাবেও দেয়া হয়েছিল।
স্থানীয় মামুন জানান, আমরা সুজনের বাসার নিচে ছড়ানো ছিটানো কোরআন শরীফের ছেড়ে পাতা ও বাসার ছাদে কয়েকটি কুরআন শরীফ আগুন দিয়ে পুড়িয়েও ফেলের দৃশ্য দেখতে পাই। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাসান আল বকর মেছাল বলেন, আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি। আ’লীগ সরকারের আমলে ওর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে নিখোঁজ ছিল। দীর্ঘ ৯ বছর পর এলাকায় আসলেও মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেখা গেছে। প্রায়ই ওর ভাই ও মাকে মারধর করতো। এর আগেও তার পরিবার থেকে দুইবার রিহ্যাবে রেখেছিলেন।
পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দেয়া ও এর পাতা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা স্থানীয় দেখে ফলায় উত্তেজিত হয়ে জনতা মারধর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে সুজনকে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুজন মানসিক ভারসাম্যহীন এবং মাদকাসক্ত। পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে সুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।