1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
উপজেলা এলজিইডি, পিআইও এবং ইউপি সচিব ম্যানেজ নবীগঞ্জে কুর্শি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে - Bikal barta
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| মঙ্গলবার| রাত ১:৪০|
সংবাদ শিরোনামঃ
জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুমিনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সমছু দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত!  আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট চালু। পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত,, ধামইরহাটে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও বাগেরহাটের রামপালে কথিত ডেভিল হান্টের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার । দোকানের টাকা চাইলেন দিনে, রাতে অন্ধকারে খেলেন মাইর  নীলফামারীর ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দখলের মহা উৎসব চলেছে ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫

উপজেলা এলজিইডি, পিআইও এবং ইউপি সচিব ম্যানেজ নবীগঞ্জে কুর্শি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫,
  • 31 জন দেখেছেন

 

বিকাল বার্তা প্রতিনিধি>>

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদের বিরুদ্ধে সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেইট নির্মাণের নামে এডিপি, টিআরসহ একাধিক বরাদ্ধের টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন, সংস্কার ও আসবাবপত্র ক্রয়ের নামে টিআর, কাবিকা’র একাধিক প্রকল্পের টাকা এবং এনাতাবাদ সৈয়দ শাহ আলী নাসির উদ্দিন মাজার উন্নয়নের নামে দু’টি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেও কোন ক্জা না করেই আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়নের সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে। এদিকে স্কুল গেইট নির্মাণের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের এডিপি’র বরাদ্ধের দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে ভ্যাপ আয়কর বাদে ২০২৩ইং সালের ২৫ জুন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করেন প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি মেম্বার গোলাম হোসেন চৌধুরী রাজু। তিনি কাজ করতে গেলে বাদ সাধেন চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ। তিনি নিজে কাজ করবেন বলে গোলাম হোসেন রাজু’র কাছ থেকে প্রকল্পের টাকা নিয়ে নেন। কিন্তু চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ কোন না করে কাজ সমাপ্ত হয়েছে মর্মে ফাইনাল বিল বাউছার জমা দেন। এ সব ঘটনার সাথে উপজেলা এলজিইডি অফিস সহকারী মোঃ হাসানের যোগসুত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ছাউর হলে সাংবাদিকরা এ বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসে। এই খবর পেয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন চৌধুরী রাজু নিজের পকেট থেকে জরিমানার টাকাসহ ১৬ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে দেড় লক্ষ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেন। অথচ ওই প্রকল্পের টাকা গেল চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদের পকেটে, আর ভর্তুকি দিলে মেম্বার প্রকল্প চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন চৌধুরী। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদের দাপুটে এলাকার মানুষসহ পরিষদের মেম্বার-মহিলা মেম্বারগণ আতংকে ছিলেন। তার ভয়ে কেউ মূখ খোলতে সাহস পায়নি। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে মেম্বারদের নামমাত্র প্রকল্পের চেয়ারম্যান বানিয়ে টাকা উত্তোলন করেই চেয়ারম্যান খালেদের হাতে দিতে হয়। পরে ওই প্রকল্পের কাজ না করেই তিনি এই টাকা গুলো আত্মসাত করেন। এ সব ক্ষেত্রে ইউনিয়ন অফিসের সচিব নিলয়, উপজেলা পিআইও অফিস এবং এলজিইডি অফিসের কার্যসহকারী মোঃ হাসানের সহযোগিতা রয়েছে বলে সুত্রে জানাগেছে। সম্প্রতি পারিবারিক কাজে সৈয়দ খালেদ লন্ডনে যান। কয়েক দিন আগে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় একটি মামলায় চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদকে আসামী করা হয়। এরপরই শুরু হয় চেয়ারম্যান খালেদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে মুখরোচক আলোচনা। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মাঝেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেইট নির্মাণের জন্য এডিপি পিআইসি প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি মেম্বার গোলাম রহমান চৌধুরী রাজু দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্ধের ভ্যাট আয়কর বাদে ২০২৩ইং সালের ২৫ জুন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করলে চেয়ারম্যান নিজে কাজ করবেন বলে টাকাগুলো ভাগিয়ে নেন। একই গেইটে টিআর, কাবিকা ও ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবীল থেকে আরও প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ এনে কাজ না করেই ওই সব টাকা আত্মসাত করেন। অদ্যাবধি পর্যন্ত স্কুলের গেইট নির্মাণ হয়নি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন সংস্কার, আসবাবপত্র ক্রয় এর নামে টিআর, কাবিকার একাধিক প্রকল্পের প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পরিষদে হৈচৈ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মেম্বারগণ জানান, তারা টাকা তোলে কাজ করার আগেই চেয়ারম্যান নিজে কাজ করবেন বলে টাকা গুলো নিয়ে যান। তবে কোন কাজ না করেই তা আত্মসাত করেন। উনার দাপুটের ভয়ে এতোদিন মূখ খোলতে সাহস পায়নি কেউ। স্থানীয় লোকজন বলেন, যে ব্যক্তি নিজের স্কুলের উন্নয়নের টাকা আত্মসাত করেন তার কাছে এলাকার উন্নয়ন আশা করা যায়না। ঘটনাটি নিয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে নামলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ফলে প্রায় দু’ বছর আগে তোলা প্রকল্পের টাকা রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে জরিমানা টাকাসহ দেড় লাখ টাকা সরকারী কোষাগাড়ে ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী কাজ না হওয়া অন্যান্যের প্রকল্পের টাকাও সরকারী কোষাগারে ফেরৎ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে নাম অপ্রকাশের শর্তে জনৈক ইউপি মেম্বার বলেন, ২০২৩ সালের প্রকল্পের ফাইনাল বিল দাখিলের পর দায়িত্বরত এলজিইডি কর্তাদের খোজঁ খবর নিয়ে গ্রহন করার কথা। তারাও তা করেন নি। এটাও রহস্যজনক। টাকা উত্তোলনের দু’ বছর পর দেড় লাখ টাকা ফেরৎ দেয়ার ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!