কে এম বেলাল প্রতিনিধি পাথরঘাটা, বরগুনা:
বরগুনার পাথরঘাটায় একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও পথচারী শিশু সহ প্রায় ৭ জন আহত হয়েছেন। পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
আহতদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায় , বুধবার (২৬ শে মার্চ) সন্ধ্যার পরে পাথরঘাটা পৌরসহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও শিশুসহ একের পর এক মানুষকে পাগলা কুকুর কামড় দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা দিকে ৭ জন বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কুকুরের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন নেই। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে বেশি দামে ওষুধের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনছেন তারা ।
আহত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আমার ছেলে ইফতার শেষে নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পাগলা কুকুরের বেপরোয়া কামড়ের শিকার হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার ভ্যাকসিন ফার্মেসি থেকে কেনার জন্য লিখে দেন। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ১০০০ টাকার উপরে । ডাক্তার বলেছেন প্রথম দিনে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। আমাদের মত সাধারন মানুষের এতটা খরচ করা কষ্টসাধ্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুব হোসেন বলেন, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন নেই, ও পৌরসভা এবং উপজেলায় খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে রোগীর স্বার্থে বাহির থেকে কিনে এনে ভ্যাকসিন করানো হয়।