মোঃ মৃদুল শাহারিয়ার পিয়াস: ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে বনভোজন ও আনন্দ যাত্রার একটি সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

১৮/০৪/২৫ ইং: রোজ শুক্রবার পুরান ঢাকার শ্যামবাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে থেকে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি বিশেষ বনভোজন ও আনন্দ যাত্রার শোভাযাত্রা শুরু করা হয়। এবং ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটে পৌঁছিয়ে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যদের মুখে ও মনে প্রানে হাসি ফুটিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটির সকল আয়োজন পরিপূর্ণ করে সমাপ্ত করা হয়।

পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এই বনভোজন ও আনন্দ যাত্রার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন : চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম সাহেব, এবং উক্ত অনুষ্ঠানটির বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব এর সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জামাদ্দার মিলন সাহেব, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা মো: মাইনুল সাহেব, শ্যামবাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান সাহেব, এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য দেবাশীষ মজুমদার, অসিত চক্রবর্তী, সঞ্জয় মদক, মোঃ ওয়াসীম, মোঃ মৃদুল শাহারিয়ার পিয়াস, মোসাঃ স্নিগ্ধা চৌধুরী তিশা, হাজী মোঃজাহিদুর জাহিদ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ অনিক ইসলাম, মোঃ সুমন, মোঃ রফি আহম্মেদ, মোঃ বাবু, ও মোঃ সোহেল।

বনভোজন ও আনন্দ যাত্রা নাগরিক জীবনের একটি মৌসুমী। আমাদের দেশে বৈশাখ থেকে শুরু করে চৈত্র মাস পর্যন্ত বনভোজন ও আনন্দ যাত্রার মহোৎসব চলে।আমাদের দেশে বনভোজন ও আনন্দ যাত্রা বেশ জনপ্রিয়। তাই বনভোজন মানে বনে ভোজন অর্থাৎ সবাই একত্রিত হয়ে বনে বসে ভোজন করা। তবে এখন আর কেউ বনে বসে ভোজন করে না। তেমনই পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ শুক্রবার বাদ পবিত্র জুম্মার নামাজের পরে ঢাকা শহরের একটি কোলাহল এলাকা শ্যামবাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে থেকে দুপুর ০২:৩০ ঘটিকায় একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । অতঃপর আনুমানিক দুপুর ৩:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটের সামনে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ মাইক্রোবাস থেকে নেমে একটু ঘোরাফেরা করে।এর কিছুক্ষণ পরে সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটের একটি সুন্দর ও মনোর পরিবেশে সকল সদস্য গণদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। এরপর দুপুরের খাবারের শেষে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ একসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটের সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের মাঝে তাদের আনন্দ যাত্রা শুরু করে।এই বনভোজন ও আনন্দ যাত্রার মধ্যে কেউ গান করেন, কেউ কৌতুক করেন, কেউ গল্প করেন,কেউবা আবার আশেপাশের গাছ গাছালির বনের পরিবেশ দেখতে চলে যান গহীন বনের মধ্যে , কেউবা আবার সারি ঘাটের নৌকায় ভ্রমণ করেন, কেউবা আবার সারি ঘাটের খুব নিকটেই একটি মেলার মধ্যে গিয়ে নাগর দোলায় চড়েন এবং মেলার মধ্যে ঘুরাঘুরি করেন এই আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যরা হাসিখুশি ও আনন্দ উৎসবের মাঝে দিনটি কাটিয়ে দেন।

অতঃপর পড়ন্ত বিকেলের সময় পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগন একত্রিত হয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাট নামক পিকনিক স্পটের একটি চায়ের দোকানে বসে চায়ের আড্ডা জমিয়ে তুলেন। এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ চায়ের কাপে চুমুকের সাথে নিজ নিজ নাগরিক জীবনের দুঃখ,কষ্ট,বেদনার অবসাদ করে অত্যন্ত কিছু সময়ের মধ্য দিয়ে। পুরান ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগন এই আনন্দের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ মনে সজীবতা প্রানে ফিরিয়ে আনে। এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ চায়ের আড্ডার শেষে একত্রিত হয়ে এক সুরে একটি স্লোগান ধরেন:(বাংলার ঐতিহ্য বাংলায় বাঙালি মোড়া সবুজ শ্যামলের ছোঁয়া পেতে চলে এসেছি ঢাকার অতি নিকটে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাটে) এই স্লোগানটি বলতে বলতে সকলেই চায়েরদোকান থেকে বেরিয়ে পড়েন।

অতঃপর পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যগণ সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সারি ঘাটের পিকনিক স্পট থেকে মাইক্রোবাসে করে আনন্দ উল্লাস করতে করতে পুরান ঢাকা শ্যামবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্যবৃন্দ সুস্থভাবে শ্যামবাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে এসে পৌঁছায় এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য মাইক্রোবাস থেকে নেমে পড়েন এবং পুরান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য গণ হাসিখুশি ভাবে সবাই সবাইকে বিদায় দিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে যান।