মোঃ মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারী ওকড়া বাড়ী মুদির ব্যাবসায়ী রহমত আলীকে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে কাছে থাকা ব্যাবসায়িক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই এলাকার বাসিন্দা তোতা মিয়ার ছেলে ফজল আলীর(৪০) বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নে।ভুক্তভোগী রহমত আলী জানান, ফজল আলী তার দোকানে প্রতিনিয়ত বাকী খায়, বাকি টাকা জের বেশি হলে টাকা চান তিনি এতেই ঘটে অসঙ্গতি । তারপরেও দোকানে গিয়ে আবার বাকি চান তিনি,না দিলে মালামাল ছিনিয়ে নিত ফজল ওসব কর্মকান্ড বাধা প্রদান করলে তার সাথে বাকদন্ডিতা বাধে।ওই সময় ফজল আলী ভুক্তভোগীকে বাজারে জীবন নাশকতার হুমকি দেয়।গত (৭-৪-২৫) ইং তারিখে রাত ১১ টার দিকে ভুক্তভোগী দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসার পথিমধ্যে ফজল আলী, হালিমা বেগম, ফজলু হক মিলে রহমত আলী কে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি ডাংমার করে এসময় চিৎকার করলেও পাশ্ববর্তী একটি অনুষ্ঠানে মাইকে গান বাজনার কারণে কেউ শুনতে পারেননি। ক্ষিপ্ত হয়ে আবার ও চলে পার্শ্ববিক নির্যাতন গাছে বেধে রেখে রহমত আলীর কাছে থাকা নগদ টাকা বের করে নেয়,এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হলে স্থানীয় সূত্র জানতে পায় রহমত আলীর বড় ভাই আমজাদ হোসেন, ফজলের বাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় রহমত আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে শরীরের অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এছাড়া ওই এলাকার একাধিক মানুষজন ফজল আলীর বিভিন্ন কুকর্ম কথা তুলে ধরেন । এবং তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসা জন্য বসলে সেখানে ফজল আলী স্বীকার করেন যে আমার ভুল হয়েছে তাকে মারধর করা ঠিক হয়নি । মীমাংসার শেষে দুজনের হাত মিলিয়ে দেওয়ার পূর্বেই কিছু দু চক্র মহলের কারণে ভেস্তে যায় মীমাংসাটি। ঘটনাটি কি কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী রহমত আলী বাদি হয়ে ডোমার থানায় অভিযোগ করেন। এবিষয়ে ফজল আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ছেলের বউ ঘরে শুয়ে আছে সে সময় রহমত আলী জালানা দিয়ে উঁকি মেরে দেখছিলো হঠাৎ শব্দ শুনি বেড় হয়ে দেখি তিনি জানালার পাশে তাৎক্ষণিক চিৎকার দিয়ে লাঠি দিয়ে মারপিট করি তাকে । সে চরিত্রহীনা এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।