আবুল কাশেম আযাদ,স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটারাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।
দুর্নীতিবাজ ‘ডামি সরকার’ দিয়ে দেশ চলতে পারে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল। একদলীয়, একতরফা ও ভোটারহীন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে মূলত বিজয় হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট বর্জনকারী গণতন্ত্রকামী বীর জনতার। আর কলঙ্কিত, অপদস্থমূলক ও লজ্জার পরাজয় ঘটেছে গণবিচ্ছিন্ন বেপরোয়া আওয়ামী লীগের। দিনটি অনন্তকাল কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই এ দেশের জনগণ না খেয়ে মরে গেলেও তাদের কিছু আসে যায় না।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আবারও একদলীয় শাসন জোরদার করতে তৎপর রয়েছে। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে তারা গোটা রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে দেশকে তারা অকার্যকরী করে তুলছে। ডামি নির্বাচনের সংসদ দিয়ে সরকারের আয়ু বাড়ানো যাবে না। দেশের মানুষ এই দুঃশাসনকে কোনোভাবেই আর বরদাস্ত করছে না। সবাইকে বলবো – আসুন সবাই একজোট হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের প্রত্যাখাত নির্বাচন, সেই নির্বাচন করে তারা এখন আত্মঅহমিকা দেখাচ্ছে। তারা জোর করে তাদের দখলদারিত্ব ক্ষমতা মানুষের সামনে দেখাতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে গনতন্ত্রকামী মানুষ জেগে উঠেছে সরকারের পতনের লক্ষ্যে। দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ডামি সরকার ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতা মাত্র। এর মাধ্যমে আবারও একদলীয় রাষ্ট্র কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপদেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ডামি সরকার ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতা মাত্র। এর মাধ্যমে আবারও একদলীয় রাষ্ট্র কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অতীতের মত সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, গত ৭জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ক্ষমতাসীন দলের সাজানো সম্পূর্ণ সাজানো নাটকের মত। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ জনগণের কোন আস্হা এবং সম্পৃক্ততা ছিল না। জনগণ আওয়ামীলীগের ডামি নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, সেই আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম, আমরা রাজপথে আছি এবং আগামীতে আমরা রাজপথে থাকব—যতদিন জনগণের সত্যিকারের অধিকার আমরা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারি। এটাই বিএনপির প্রতিজ্ঞা।’
সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বৃন্দ যথাক্রমে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান , আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম সওদাগর, ভিপি মোজাম্মেল, আলহাজ্ব আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী মোঃ রফিক, নবাব মিয়া, মো: ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, নূরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন আব্দুল্লাহ্, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার মোহাম্মদ লোকমান, সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাদু, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোহাম্মদ ওসমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আ,ক,ম, মোজাম্মেল হক, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী কামাল উদ্দীন, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, একেএম জসীম উদ্দীন, আবদুল মাবুদ, উত্তর সাতকানিয়া ইউনিট বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, আপেল উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দীন সবুজ, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন প্রমূখ।