1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে দেদারসে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৪:০৭|
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।  সভাপতি রিপন মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। বিশ্বম্ভরপুরে”জয়কুলের”উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। দিনাজপুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ  বীরগঞ্জে ৩৯৫কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার! আজ মতিয়ারা মুক্তার জন্মদিন মর্যাদার শোকজ খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার শেরপুর জেলায় মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে দেদারসে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪,
  • 197 জন দেখেছেন

 

এ এ রানা: : সিলেটের নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মালিক সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশিত নিয়মগুলো যথাযথ অনুসরণ করেন না। এক্ষেত্রে হোটেল মালিকদের গাফিলতি এবং বর্ডারদের অসচেতনতাকে দায়ি করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। এছাড়া এসব হোটেলে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরসহ বিভিন্ন রকম অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ তো রয়েছেই।

জানা গেছে, কিছু কিছু আবাসিক হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরা বাড়তি লাভের আশায় হোটেল অভ্যন্তরে দেহ ব্যবসা, প্রতারণামূলক নানা কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এসব হোটেলে রুম ভাড়া মেলে ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। আর বিশ্বস্ত বা পরিচিত হলে ভাড়া কিছু কম রাখা হয়।

নগরীর কদমতলি বাস টার্মিনাল, চাঁদনী ঘাট, লালবাজার, বন্দর বাজার, লালদিঘীর পাড়, সুরমা মার্কেট, তালতলা, রেল স্টেশন, ওসমানী মেডিকেল, আম্বরখানা এয়ারপোর্ট রোড, দরগা গেইট এলাকার অধিকাংশ হোটেলে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। কিছু হোটেলের লাইসেন্স বা অনুমোদনও নেই ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। গত পাঁচদিনে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে আটক হয়েছেন ১৮ তরুণ-তরুণী। আটককৃতদের বেশীর ভাগের বয়স ১৮ থেকে ২৬ বছর।

পুলিশ বলছে, মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আটককৃতদের প্রত্যাককে মামলা দায়ের করে আদালতেও প্রেরণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই তরুণ ও দুই তরুণীকে আটক করেছে গোয়ান্দা পুলিশের একটি টিম।

আটককৃতরা হলেন-মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার সাধনপুর গ্রামের মো. গিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন সাজু (৩১), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব তাজপুর গ্রামের আজেদ আলীর ছেলে মো. নয়ন মিয়া (২৮), একই উপজেলার গোয়ালাবাজার তাজপুর এলাকার রফিক মিয়ার স্ত্রী ঝুমা বেগম (২৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের সুরুষ গুপ্ত’র মেয়ে পপি গুপ্ত (৩০)।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক থেকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে দুই তরুণ ও দুই তরুণীকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার খাড়ারপাড় গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (৩৫), জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার গ্রামের হিরা মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৯), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার কুরেশপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. উজ্জল আহমদ (২০) ও খুলনা জেলার রুপসা থানার চানমারীবাজার গ্রামের মৃত আরব আলীর মেয়ে ঝর্না বেগম (২০)।

এরআগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস অবাসিক হোটেল থেকে ১০ তরুণ-তরুণীকে গ্রেফতার করেছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইমরান শেখ (১৮), শামসুল মিয়া (২৬), ময়না আহমদ (২৫), আসাদ শেখ (২৪), মোঃ কুটি মিয়া (৪২), সজিব দাস (২৬), রুবেল মিয়া (২২), শারমিন (২৫), পারভিন আক্তার লিজা (২৬), শ্যামলি খাতুন (২৬)।

এখনো জমজমাট দেহ ব্যবসা চলছে লালদিঘীর পাড় হোটেল নিলাদ্রী আবাসিক, বন্দর বাজারের হোটেল তালহা আবাসিক, মিরাবাজার এলাকার হোটেল জাহান এবং আম্বরখানা বিমানবন্দর সড়কের হোটেল মায়াবন আবাসিকে। এসব আবাসিক হোটেল থেকে নিয়মিত বখরা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বন্দর বাজার ফাঁড়ি ও আম্বরখানা ফাঁড়ির আইসির বিরুদ্ধে।

এ ব্যপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইতিমধ্যে নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও বন্ধ না করায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এসব হোটেলের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!