ইমরান সরকার স্টাফ রিপোর্টার :-গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঘাঘট নদী। আঁকাবাঁকা এ নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নেই নদী শাসন ব্যবস্থা ফলে মানুষেরা দিন দিন হারাচ্ছে বসতবাড়ি,ও ফসলি জমি। আতঙ্কে রাত কাটছে নির্ঘুমে। দীর্ঘ যুগ ধরে নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় এমন ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরে,জমিনে গিয়ে দেখা যায় সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম জামালপুর,দামোদর পুর, ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনের দৃশ্য। এ সময় ক্ষতি গ্রস্ত মানুষদের মুখে শোনা গেল নদী ভাঙ্গন রোধে নানান দাবি -দাওয়ার কথা।খোঁজ নিয়ে জানা যায় নদীটি বন গ্রামের টুনির চর থেকে শুরু হয়ে নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর গিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সীমানায় ঠেকেছে।এখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি অবাদে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গন আরো বেশি আকার ধারণ করেছে অথচ ভাঙ্গন রোধে নেওয়া হচ্ছে না সরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ।কোন কোন স্থানে জিও ব্যাক, ব্লক, স্থাপন করা হলেও তা টিকসই হচ্ছে না। যার কারণে গত একযুগে সাদুল্যাপুরের নদীর ভাঙ্গনে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এই নদীর অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধেই আশ্রয় হয়েছে বাস্তহারা কিছু সংখ্যক পরিবারের। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাধসহ চলে গেছে নদীগর্ভে।
বর্তমানে শত শত পরিবার নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কয়েক যুগেও ঘাগর নদী শাসন না করায় সিট জামুডাঙ্গা,মুন্সিপাড়া, ভাঙ্গামোর,জামুডাঙ্গা, টুনিরচর সহ আরোও একাধিক স্থানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া চান্দের বাজার, মহিষবান্দি,ছোট দাউদপুর ও কুটিপাড়া গ্রামের নদী তীর পরিবারদের দিন কাটছে আতঙ্কে। প্রতিবছরের বন্যা আর নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছো অনেকে কেউ কেউ মাথা গোজার ঠাই হারিয়ে পথে বসেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন,ইতিমধ্য ঐ নদীর একাধিক পয়েন্টে ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হয়েছে। আবার ও
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হবে।