1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ভোলায় বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে, তবে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ২:১৪|
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।  সভাপতি রিপন মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। বিশ্বম্ভরপুরে”জয়কুলের”উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। দিনাজপুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ  বীরগঞ্জে ৩৯৫কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার! আজ মতিয়ারা মুক্তার জন্মদিন মর্যাদার শোকজ খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার শেরপুর জেলায় মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

ভোলায় বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে, তবে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মার্চ ৫, ২০২৪,
  • 164 জন দেখেছেন

মোঃ হোসেন, সদর প্রতিনিধি : ভোলায় ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফুটছে বাংলার চির চেনা রক্ত লাল শিমুল ফুল। শীত বিদায় নিচ্ছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। মৃদু হাওয়ায় নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। প্রকৃতিতে এখন এমনি রুপ। প্রকৃতিতে বইছে দক্ষিণা বাতাস। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল, ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আম, লিচু, লেবুসহ বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। এখন আর আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে আগের মতো ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছের দেখা নেই। যাও আছে খুবিই কম।

গ্রাম বাংলায় শিমুল গাছ ঔষধি গাছ নামে পরিচিত। গ্রামঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মনে। কিছু দিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলা তৈরি হয়।

গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো সাধারণ পরিবারকে। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে আবার নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে অতীতে।

কিন্তু বর্তমানে শিমুল তুলা গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় গাছ রোপণ করা হয় না। বর্তমানে শিমুল তুলা ৪০০/- থেকে ৫০০/- টাকা কেজি, আর গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে তৈরি তুলা ৪০/৫০ টাকা কাঁপাস তুলা ১০০/- টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভোলায় আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতি নিয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে ফেলতে বসেছি, অতি চিরচেনা শিমুল গাছ-কে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মুঠোফোন বলেন, বাণিজ্যিক ভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুল গাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নার্সারি গুলোতে চাহিদা কম থাকায় উৎপাদন বন্ধের পথে পেড়ায়। এটি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝতে সক্ষম হতো।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!