মোঃ মামুন আলী ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা হলিধানী বাজারে পশ্চিম পাশে, ঝিনাইদহ টু চুয়াডাঙ্গা মেন মহাসড়কে পাশে রয়েছে শতবর্ষী মৃত রেইনট্রি গাছ। গাছগুলো শুকিয়ে গেছে অনেক আগে। শুকনো গাছের ডাল ও কাঠ ভেঙে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সামান্য বাতাস কিংবা ঝড়-বৃষ্টি হলেই আহত হচ্ছেন পথচারী ও স্থানীয় মানুষজন। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী ও যানবাহন। শুকনো গাছগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ না থাকায় এখন তা সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানানোর পরেও শুকনা গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।
কোলা গ্রামের বকুল মাস্টার জানান এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত শুকনো গাছগুলো অপসারণ করা হোক।
শালিয়া গ্রামের ভ্যানচালক নুরুদ্দিন বলেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে দিনে কয়েকবার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সব সময় শুকনো গাছের ডাল ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকি।
রাজমিস্ত্রি মস্ত জানান রাস্তার যে অবস্থা মনে আতঙ্ক কাজ করে। যেকোনো সময় উপর থেকে শুকনো ডাল পড়ে মৃত্যু বা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কর্তৃপক্ষের অনেক আগেই শুকনো গাছগুলো নিধন করে নতুন গাছ রোপণ করা উচিত ছিল।
ঝিনাইদহ টু চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশের স্থানীয় বাসিন্দা মনির জানান, তার বসতবাড়ির উপর দিয়ে রাস্তার দুই পাশে গাছের শুকনো ডাল রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন পাশেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রি ক্যাডেট স্কুল ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা পড়ালেখা করেন। ওই স্কুলে থাকা ছোট শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
শুকনো গাছ ও ডাল কেটে ফেলার জন্য স্থানীয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার বলাবলি করেও কোনো সমাধান মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।