নিজস্ব প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মুখমণ্ডল পোড়া অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় যে ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছিল তার পরিচয় মিলেছে। পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (এডমিন) অভি রঞ্জন দেব জানান, জেলা পিবিআইয়ের উপ—পরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে। অভি রঞ্জন দেবের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উদ্ধার লাশটি — খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর—বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মো: সাইফুল ইসলামের। তার বাবার নাম আব্দুস সামাদ এবং মায়ের নাম ছায়রা খাতুন। জেলা পিবিআইয়ের এ পরিদর্শক আরও জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর বলে উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় । তখন তার নাম—পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “হাওরের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে। তনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাকেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত, পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে। আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে বলে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সাহেব আলী পাঠান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সুমন চন্দ্র দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পিবিআইয়ের পুলিশ কর্মকর্তা অভি রঞ্জন দেব বলেন, হাওরে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পিবিআইয়ের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। তখন থেকেই এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্তে নামে।