চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
এক মাসের বেতন পরিশোধ না করে ‘বিনা নোটিশে’ ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে লিগ্যাল নোটিশ দারস্ত হয়েছেন চাঁদগাঁও গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসন। তিনি কালুরঘাট চট্টগ্রাম এলাকায় সুইডিস কমপ্লেক্স লিঃ কারাখানায় মেশিন অপরেটর হিসাবে কাজ করতেন।
আমজাদ হোসেন বলেন। আমি বিগত ৩০ বছর যাবৎ সুইডিস কমপ্লেক্স লিঃ কারাখানায় কর্মরত ছিলাম।গত ১২/১/২০১০ কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনা জনিত কারণে আমার হাতের চারটি আঙুল কেটে যাওয়ার ফলে সুইডিস কোম্পানি মালিক আমার চিকিৎসা বাবদ আমাকে পনের হাজার টাকা দেয়।
কোম্পানি নিয়মমোতাবেক ৪ দিন ছুটি নিয়ে আমি কোম্পানিতে ২৬/১২/২০২৩ সালে কোম্পানিতে যোগদান করতে যায় এমতাবস্থায় আমাকে কোম্পানিতে ডুকতে না দিয়ে
কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরিচ্যুত করেছে। তবে নোটিশে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
কারখানার অধিনস্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা , কোনো কারণ না জানিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকর চাকরিচ্যুত করেছে।
শ্রম আইন অনুযায়ী চাকরিচ্যুত করার আগে আমাদের সকল বকেয়া ও তিন মাসের অগ্রিম বেতন পরিশোধ করার কথা রয়েছে।
আইন অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কোন উপায় না পেয়ে আমি শ্রম আদালতে দারস্ত হয়েছে।
তবে সুইডিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর হক সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কারখানার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে কয়েকজন কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে। আমজাদ আমাদের কোন কার্ড দারী শ্রমীক ছিলেন না তিনি কন্টাকটর হিসাবে কাজ করতেন। তিনি যদি আমাদের সাথে কোন দেনা পাওয়ানা থাকে তবে তিনি শ্রম আইন আদালত মামলা করতে পারেন
এ বিষয়টি জন্য এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম সৌরভ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন। আমজাদ হোসেন টার্মিনেট করা বিষয় সঠিক প্রমাণ পেয়েছি । শ্রম আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী ১২০ দিনের নোটিশ পে বাবদ ক্ষতিপুরুন বাবদ বকেয়া মজুরি এবং বোনাস পায় সে বিষয়টি উল্লেখ করে। বাংলাদেশ শ্রম বিধি ২০১৫ এর বিধি ১১৩ মতে আমাজাদ হোসেন পাওনাদি বুজাইয়া পাওয়ার জন্য এই নোটিশ ইস্যু করা হল।