এস এম রনি, সাতক্ষীরা : টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জনভোগান্তি চরমে পৌছেছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমাল্লারডাঙ্গী, কামালনগর, ইটাগাছা, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বদ্দীপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, উত্তরকাটিয়া,রথখোলা, রাজার বাগান, মুনজিতপুর, পুরাতন সাতক্ষীরার নিম্ন এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।
ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। এতে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা এলাকায়। পানি নিষ্কাশিত না হয়ে বিভিন্ন এলাকা পানিবদ্ধ হয়ে থাকছে মাসের পর মাস। বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ও সরকারি খাল দখল করে মৎস্য ঘের গড়ে তোলা, অবৈধভাবে খালে দেওয়া নেট—পাটাসহ পরিবেশ বির্পয়ের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে সাতক্ষীরাবাসীকে। কোটি কোটি টাকার নদী খনন প্রকল্পে অনিয়মের কারণে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না। নদী—খালের প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলা হয়। তলদেশ খনন না করে পাড় উঁচু করে গভীরতা দেখানো হয়। ফলে স্থলভাগের পানি নদীতে যায় না। উপরন্তু নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এছাড়াও ঘরবাড়ী, মার্কেট, দোকানপাট পৌরসভা এবং রোডস্ এন্ড হাইওয়ের খালি জায়গায় মাটি ভরাট করে জায়গা দখল এবং এ সমস্ত স্হাপনা নির্মান করে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারন।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। অনেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেছেন। দ্রুততম সময়ে পানিবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্যোগ না নিলে এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানিবদ্ধতা এলাকায় ঘুরে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে সরকার নদী খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়, কিন্তু অপরিকল্পিত খননের কারণে তা যায় পানিতে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, স্কুল—কলেজ সব পানিতে ডুবে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, গোয়াল ঘরে পানি ওঠায় গরু ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ। সেই সাথে গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও অপরিকল্পিত নদী খননই এর জন্য দায়ী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাতক্ষীরায় পানিবদ্ধতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরামর্শ গুলোর কার্যকরী বাস্তবায়ন দেখতে চায় স্থানীয়রা।
পানিবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শনে যেয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, শহরের পানিবদ্ধতা নিরসনে ঘের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পানিবদ্ধতা হ্রাস পাবে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট। আইন উপদেষ্টা: এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা। উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন, বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম। :: বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ
The Daily BikalBarta - National Newspaper of Bangladesh