সুদীপ্ত মিস্ত্রী খুলনা প্রতিনিধিঃ
ডুমুরিয়ায় উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকের কাঁচা ফসল ও শত শত মাছের ঘেরের।
বুধবার ৯ জুন বিকালে ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাকা ও কাঁচা রাস্তায় হাঁটুপানি জমে আছে। অনেক দোকানপাট, বাজার ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে বলেন, ‘আরও দুই দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
টানা বৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা,মাগুরখালী,খর্নিয়া , ডুমুরিয়া, গুটুদিয়া সাহস,সহ ১৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমন ধানের বিজতলা, সবজি ক্ষেত, মাছের ঘের, পুকুর, কাঁচা রাস্তা ও নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শোভনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও মাদারতলা বাজারের সভাপতি স্বপন মিস্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আমন ধানের বিজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত রাখা জমিও এখন থমথমে পানির নিচে। সবজির খেতেও হাঁটুপানি জমে আছে।
৯ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়্যারমান দেবব্রত সরদার বলেন, ‘ছোট ছোট মাছের ঘেরের ভেড়ি (বাঁধ) ভেঙে মাছ বেরিয়ে গেছে। বড় বড় ঘেরের অবস্থাও টলমল। যে কোনো সময় ভেড়ি ভেঙে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
শোভনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মৃণাল কান্তি বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবারও অতিবৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাদারতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন,
সরকারি নানা প্রকল্পে কালভার্টগুলো সচল রাখার কথা বলা হলেও বাস্তবে অধিকাংশ কালভার্ট বন্ধ থাকে। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমিটি পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শোভনায় নদী খনন, খাস খালগুলো উন্মুক্ত রাখা এবং ড্রেনেজ-ব্যবস্থা উন্মুক্ত রাখার কথা বলা হলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এ বছরও উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধানের বিজতলা তলিয়ে গেছে এবং কাঁচা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। টানা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সরজমিনে পরিদর্শন করেন ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। শিঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট। আইন উপদেষ্টা: এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা। উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন, বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম। :: বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ
The Daily BikalBarta - National Newspaper of Bangladesh