1. jnsbd24@gmail.com : admin :
উখিয়ার পালংখালীতে প্রবাসী'র স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন। - দৈনিক বিকাল বার্তা
১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ২:৩৩|
শিরোনাম :
বীরগঞ্জে হত্যা চেষ্টার মূল হোতা মনিরুজ্জামান চৌধুরী ধরা ছোঁয়ার বাইরে  এক ফালি আশা বিশ্বম্ভরপুরে প্রশাসনের জব্দকৃত বালু অবৈধভাবে বিক্রয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত দিনাজপুর-৪ আসনের  ইসলামী আন্দোলন দলের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব  মাওলানা  মোঃ আনোয়ার হুসাইন নদভীকে চূড়ান্ত ঘোষণা  সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের মাধ্যমে শাবিপ্রবিতে ইতিহাস গড়লেন মাদ্রাসার ছাত্র হাবিবুর রহমান মাসরুর। জকিগঞ্জে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত। সাতক্ষীরায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অভিমানী দৃষ্টি  পটুয়াখালী জেলায় গলাচিপায় ভি ডব্লিউ বি চাল বিতরণ কালে দূর্নীতির অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যান সেনাবাহিনীর হাতে আটক।  বছরের শেষে চুড়ান্ত হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

উখিয়ার পালংখালীতে প্রবাসী’র স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন।

Reporter Name
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের ইউনিয়ন হসপিটালে এক সঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন ইয়াছমিন আক্তার নামের এক সৌভাগ্যবান মা। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে। এই গৌরবময় জন্মের ঘটনায় পরিবার, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।

 

 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ১টা ১৫ মিনিটে ইউনিয়ন হসপিটালের সমৃদ্ধ ও বিশেষজ্ঞ গাইনী বিভাগের চিকিৎসকেরা সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক পৃথিবীর আলো দেখেন।

 

প্রসূতি ও গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী ও ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তারের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন হয়। তাঁদের সাথে ছিলেন ডা. নুর মোহাম্দ ও ডা. কৌশিক দত্ত।

 

এর আগে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই প্রসূতিকে।

 

ইয়াছমিন আক্তার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মুছারহলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী। রবিউল আট বছর ধরে সৌদিতে রয়েছেন। তিনি তাঁর সন্তানদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

 

দাদা নুর আহমদ বলেন, “মাশাআল্লাহ-আমি এক সঙ্গে চারটা নাতি পেয়েছি, তিন ছেলে ও এক মেয়ে। আমার অনেক খুশি লাগছে, আমার সৌদি প্রবাসী ছেলেও অনেক খুশি। সকলের কাছে নাতিদের জন্য দোয়া চাই।”

 

অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তার বলেন, “গর্ভাবস্থাটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। সফল অস্ত্রোপচারে মা ও চার নবজাতক সুস্থ অবস্থায় আছে-এটি আমাদের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের।”

 

তিনি বলেন, “তাদেরকে বর্তমানে হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে (NICU) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত চার সন্তানের গর্ভধারণ এবং জন্ম—প্রায় ৭ লাখে একটি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মা ও শিশুদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা, পুষ্টি সহায়তা এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হবে।

 

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন হসপিটাল কক্সবাজার পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মুকিত চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজারে চিকিৎসা ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার সন্তানের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন হসপিটাল কক্সবাজার পিএলসি’র গাইনী বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে গৌরবময় কাজটি সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্যে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেছে, যা উন্নত ও বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবায় হসপিটাল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
@ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ ।