নিশাত তাবাসসুম:
আমার এলাকার কিছু লোকের কাছে জানতে পারলাম । একজনের বিয়ে তে যৌতুক রাখা হলো ৫০ লক্ষ টাকা।আর তার উপর বিলাশ বহুল আয়োজন এর ভার। লোক সমাজে কিছু লেখক কীর্তি করে কিছুটা হলেও প্রতিবাদী লেখক এর খেতাব আছে আমার । তাই লোকটি আমাকে বলল ,, আপনি যৌতুক আর এই বিলাশ বহুল বিয়ের আয়োজন সম্পর্কে কি বলবেন ?
আমি : সর্ব প্রথম আমি জানতে চাইব এটার কি কোনো গ্যারান্টি আছে নাকি যে এই বিয়ে টা স্থায়ী হবে ?নাকি বেশি টাকা যৌতুক দিলে বিয়ে তে সুখ শান্তি বাড়বে ?
লোক : বিয়ে করলে তো খরচ বাড়বেই ?
আমিঃ বিয়ে তে বেশি টাকা খরচ করা বোকামি ।আমার মতে এতো টাকা খরচ না করে টাকা গুলো সেই বিবাহিত দমপতিদের জন্য রাখা উচিত যাতে ভবিষ্যতে তাদের কাজে লাগে। কত এমন দুর্ভাগা মেয়ে আছে যাদের বিয়ে শুধু মাত্র টাকার জন্য আটকিয়ে আছে ,,,আমরা বিয়ে তে বেশি খরচ না করে ওই সমস্ত মেয়ের সাহায্য করতে পারি ,, আর টাকাগুলো দিয়ে একজনের হলেও বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
লোক : সবাই যদি আপনার মত বুঝতো সমাজ টাতে কোনো গরিব বাবাকে ভিক্ষা করে তাঁর মেয়ে কে বিয়ে দিতে হতো না । এদিকে উল্টো মেয়ের বাবাদের মোটা অংকের যৌতুক এর সাথে সাথে মাথা টা নিচু করে রাখতে হয় ছেলে পক্ষের সামনে ।এই বিষয় আপনার মতামত কি ?
আমিঃ একটা ছাগলএর বাচ্চা পালার পর আমরা ছাগলটাকে কাউকে দিতেও মায়া বোধ করি ।আর এদিকে তো বাবা মা নিজের মেয়ে কে কোনো দাবি ছাড়া আপনার কাছে দিয়ে দেয়। কত টা সাহস থাকলে এই কাজ করা যায় বুঝা কি যায় ? আমার মতে এমন প্রতিটা মেয়ের বাবা মা মহীয়সী হয়। অনেক সাহস না থাকলে কেউ কাউকে কখনো নিজের সব চেয়ে যত্নের জিনিস দিতে পারবে না। তাই ছেলের পক্ষের তো মেয়ের বাবা মায়ের সামনে নজর তুলে কথা বলার সাহস থাকাও বোকামি। আর সেখানে যৌতুক আর বিলাশ বহুল বিয়ের আয়োজন আশা করা তো অবরোধ।
লোক : খুব কঠিন কথা বলে ফেলেছেন আপনি। এই কথার উপর প্রশ্ন রাখা যায় না। কিন্তু প্রতিটা মানুষ যদি এরকম চিন্তা করতো, তাহলে সভ্য সমাজের নিচে ঢাকা পড়ে এখনো যে আমাদের সমাজে যৌতুক প্রথা রয়ে গেছে এটা বন্ধ হতো।আর প্রতিটি মেয়ের পরিবার ন্যায্য সম্মান পেতো।