1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ইসলামিক জ্ঞানচর্চার ভান্ডার নীলফামারী জেলা মডেল মসজিদ   - Bikal barta
২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| সন্ধ্যা ৬:৩২|
সংবাদ শিরোনামঃ
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক কনস্টেবল প্রত্যাহার বগুড়ার মহাস্থানে অবৈধ স্থাপনা যৌথ বাহিনী কর্তৃক উচ্ছেদ চিরিরবন্দরে বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জেলা এনএসআই,পাবনার তথ্যের ভিত্তিতে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোরশেদুল আলম কর্তৃক অবৈধ বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ভাঙ্গায় ১৪৪ ধারা ভেঙে জমি দখল করে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ  ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা কর্মচারী ডিগ্রি পাসকোর্স করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। জকিগঞ্জে ঈদগাহ বাজারের একই গ্রামের ৬ তরুণ ৫দিন থেকে নিখোঁজ!সন্ধান পেতে পরিবারের আকুতি!  চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় বাবার ধর্ষণে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা! ঝিনাইদহে গরু চুরি, নিঃস্ব দুই দিনমজুর পরিবার।

ইসলামিক জ্ঞানচর্চার ভান্ডার নীলফামারী জেলা মডেল মসজিদ  

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫,
  • 46 জন দেখেছেন

এম এ মালেক নীলফামারী:

উদ্বোধনের মাত্র দুই বছরে নীলফামারী জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার ভান্ডার হিসেবে ভালোই পরিচিতি পেয়েছে জেলার ধর্মপ্রাণ মানষের কাছে।পাশাপাশি জেলা সদর সহ ৫ উপজেলায় রয়েছে আলাদা আলাদা মডেল মসজিদ। সেখানেও সমান তালে চলছে ইসলামীক জ্ঞানচর্চা। প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্মালম্বীরা আসেন এখানে জ্ঞানচর্চার জন্য। ফলে আশপাশের বাসিন্দারা গর্ভভরে আপন করে নিচ্ছেন এসব মসজিদগুলো। অপরদিকে একটি কুচক্রি মহল নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মডেল মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাদের এমন অপপ্রচার ভিত্তিহীন বলে দাবি কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর।

শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারী/২৫) সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের মোড়লের ডাঙ্গায় অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রতিদিনের মতো যোহরের সালাত আদায় করতে আসছেন আশপাশের মুসল্লীরা।

তাদের সাথে কথা হলে জানান, এ মসজিদে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত আর জুম্মা’র সালাত আদায় করা হয়। আবার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা মডেল মসজিদ দেখতেও আসেন এবং লাইব্রেরী থেকে ইসলামীক বই ক্রয় করে নিয়ে যায়। এছাড়াও কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষাকেন্দ্র ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ জ্ঞান বিকাশের জন্য বিভিন্ন ইসলামীক কার্যক্রম পরিচালনা করেন কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ও এলি বলেন, ‘মসজিদটি এলাকাবাসীর পাশাপাশি জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে খুবেই প্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা প্রতিদিন এ মসজিদে সালাত আদায় করি। মুসল্লীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মসজিদে জরুরী বাহির দরজাও আছে। তাই আমরা এই মসজিদকে নিরাপদ মনে করি এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডেও অংশ গ্রহণ করি। ইসলামীক কেন্দ্র হওয়ায় জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত বিভাগ খুবেই গুরুত্বের সাথে মানসম্মত মালামাল দিয়ে এই মসজিদগুলো নির্মাণ করেছেন।’

আলম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন,‘ আমাদের এলাকায় মডেল মসজিদ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। কারণ আমরা এ মসজিদে এসে ইসলামীক জ্ঞান চর্চা করতে পারি। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে সাক্ষাত হয়। তাদের ইসলামীক আলোচনায় যুক্ত হয়ে আমরা জ্ঞান লাভ করি।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম বলেন,‘ আমি এখানে জয়েন করেছি কয়েক মাস হলো। মডেল মসজিদগুলো একটি ইসলামীক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বের সাথে কাজ সমাপ্ত করেছে। এছাড়াও জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সকলে কাজ চলাকালে এর দেখাশোনা করেছেন। তারাও কাজে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন। আমি যোগদানের পর নতুন করে কিছু কাজ করানোর জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন।তাই আমি এই মসজিদকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না।’

নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, মডেল মসজিদগুলো ইসলামীক প্রতিষ্ঠান। এই মসজিদগুলোকে গুণগতভাবে নির্মাণের লক্ষে আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তদারকি করেছি। এখানে কোন প্রকার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। যারা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা নিজের স্বার্থ হাসিলের পায়তারা করছে।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ শতক জমির উপর ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের অধীনে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল মডেল মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ তৃতীয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!