বিশেষ প্রতিবেদক:
বিগত ২০২০ সালের মাঝামাঝি কোন এক ঘটনার সূত্র ধরে জনৈক দেব শংকর সাহা রায় এর সাথে স্মৃতি কনা বিশ্বাস নামক জনৈক ভদ্রমহিলার পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালোলাগা, ভালোলাগার সম্পর্ক থেকে প্রণয়, প্রণয় থেকে বিয়ে অব্দি গড়ায়। দেব সাহা রায়ের (দেবু), বয়স (৫৩ বছর), পিতা: বেণী মাধব সাহা রায়, মাতা: জোস্না সাহা রায়, গ্রাম: ০৯২২০০ বড় বাজার পূর্ব থানা, জেলা সদর, নেত্রকোনা। আর স্মৃতি কনা বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়াতে। একজন শিক্ষকের মেয়ে স্মৃতি কনা বিশ্বাস, পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন সমাজ সেবক, পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক যুগান্তর, সাবেক সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকা সহ বিভিন্ন দৈনিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকে নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন। এখন তিনি ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখছেন। তার রচিত উপন্যাস ও ছোটগল্প ইংরেজি, হিন্দি বাংলাসহ অনেক ভাষায় অনুদিত হচ্ছে।
এছাড়াও স্মৃতি কনা বিশ্বাস আইন বিষয় নিয়ে পড়ছেন, শীঘ্রই তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
এই দেব শংকর সাহা রায় ২০২০ সালে ভালোবেসে গান্ধর্ব মতে সিঁদুর পড়িয়ে বিয়ে করেন এই স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে। এর পরে মন্দিরে বড় করে অনুষ্ঠান করে এবং বিয়ে রেজিস্ট্রি করে তাকে তার বাড়ি নেত্রকোনাতে নিয়ে যাবেন বলে নিয়মিত স্মৃতি কনা বিশ্বাস এর ঢাকার মিরপুরের বাসায় ( বাসা নং ৭৪১, পশ্চিম শেওড়াপাড়া, ওয়াসা রোড, মিরপুর, ঢাকা।) আসতে থাকেন। মাসে ২/৩ বার এসে তিন চারদিন থেকে আবার নেত্রকোনা চলে যান। এভাবে সময় গড়াতে থাকে। দেখতে দেখতে চার বছর চলে যেতে থাকে, কিন্তু দেব শংকর সাহা রায় আর কোন আনুষ্ঠানিক বিবাহ করার কথা তোলেননা। স্মৃতি কনা বিশ্বাস এর বাবা মা বেঁচে নেই, বড় দাদা ও বৌদির সংসারে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে তার দাদা বৌদি দেব শংকর সাহা রায়ের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করতে কালক্ষেপণ করতে দেখে জবাবদিহি করেলে সে স্বেচ্ছায় গত ০৪/০৪/২৪ তারিখে পুরোহিতের সম্মুখে বৈদিক মন্ত্র পড়ে এবং বিবাহ রেজিস্ট্রারের সামনে বৈবাহিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিবাহ করেন। পরদিন ০৫/০৪/২৪ তারিখ বিকেলে স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে বলেন যে, “আমি আজ নেত্রকোনা গিয়ে মাকে বলে যথাশীঘ্র তোমাকে বউভাতের অনুষ্ঠান করে ঘরে তুলে নেবো, তুমি আপাততঃ কয়েকটা দিন ঢাকায় থাকো।
কিন্তু এরপর এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ অব্দি রেগুলার দেব শংকর সাহা রায় স্মৃতি কনাকে কল করলেও হঠাৎ ২০ এপ্রিল রাত থেকে ফোন বন্ধ করে দেয়। আর কোনদিন কল করেনি, যতবার স্মৃতি কনা বিশ্বাস তার স্বামী দেব শংকর সাহা রায়কে কল করেছে তার ফোন বন্ধ পেয়েছে। এমতাবস্থায় সে দুশ্চিন্তা করতে থাকে এবং তার স্বামীর আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, কিন্তু কোন ভাবেই তার সন্ধান না পেয়ে সে গত বছর (২০২৪) কোরবানির আগেরদিন দেব শংকর সাহা রায়ের নেত্রকোনার বাড়িতে যায় এবং সে কোথায় তা তার শাশুড়ী জোস্না সাহা রায় এবং ভাসুর দীপংকরসহ বাড়ির অন্য সদস্যদের জিজ্ঞেস করলে তারা তার কোন তথ্য তাকে না দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং দেব শংকর সাহা রায়ের বড় দাদা দীপংকর সাহা রায়, তার স্ত্রী, তার ছেলে দীপ্ত সাহা রায়, তার ছোট ভাই সুশংকর সাহা রায়, তার স্ত্রী ইতি সাহা রায়সহ সকলে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং বটি নিয়ে তাকে কোপাতে আসে, এক পর্যায়ে দীপ্ত সাহা রায় স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে কিশোর গ্যাং দিয়ে খুন করে গুম করার হুমকি দিলে একা স্মৃতি কনা বিশ্বাস ভীত হয়ে তার সুপরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই বিজয় বসাক ( অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ)কে কল করে জীবনের নিরাপত্তা চাইলে তিনি তৎকালীন নেত্রকোণার পুলিশের এসপি সাহেবকে বিষয়টি বলেন এবং এসপি সাহেব নেত্রকোনা মডেল থনার ওসি সাহেবকে বলেন এবং তিনি লিখিত অভিযোগ নিয়ে দেব শংকর সাহা রায়ের বাড়িতে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম পাঠান কিন্তু পুলিশের টের পেয়ে দীপংকর সাহা রায়সহ বাড়ীর মোটামুটি সকল সদস্য গা ঢাকা দেয় এবং নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি লিটন এবং সাবেক এমপি অপু উকিলকে দিয়ে উপর্যুপরি চাপ ও হুমকি দিতে থাকে স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় চলে আসতে। একা নিরুপায় হয়ে স্মৃতি কনা বিশ্বাস সেদিন ঢাকায় চলে আসেন। এর পরে সে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে কয়েকবার জিডি করেন।
জিডি নং ২০৭৫
তারিখ : ২৪/০৬/২০২৪।
মিরপুর মডেল থানা।
জিডি নং- ৭৫
তারিখ : ০১/০৭/২০২৪
মিরপুর মডেল থানা।
উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে মডেল থানার পুলিশের মাধ্যমে মিরপুর মডেল থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ স্মৃতি কনা বিশ্বাস মানসিক চাপে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তদন্ত আর অগ্রসর হয়নি, এরপর আবারও স্মৃতি কনা বিশ্বাস তার স্বামীকে নেত্রকোনায় খুঁজতে গেলে দেব শংকর সাহা রায়ের পরিবার তাকে চরম হয়রানির শিকার করে।
দেব শংকর সাহা রায়ের পরিবার তাকে তার স্বামীর সাথে যাতে সংসার না করতে পারে এজন্য তার স্বামীকে চেতনা নাশক খাইয়ে গুম করে রেখেছে, একটি বছর পার হয়ে গেলেও অদ্যাবধি তার স্বামীর কোন সন্ধান পায়নি স্মৃতি কনা বিশ্বাস। এদিকে বাবা মা হীন স্মৃতি কনা বিশ্বাস তার ভাই বোনের অমতে দেব শংকর সাহা রায়ের পিড়াপিড়িতে তাকে বিবাহ করে এমন বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে স্মৃতির ভাই বোন তার উপরে চরম বিরক্ত হয়ে তারা তার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। সে চরম হতাশায় ডুবে আছে। মানসিক চাপে সে ভীষণ অসুস্থ। নিয়মিত ডাক্তার দেখিয়ে কোনমতে বেঁচে আছে। কোন সূত্র পাচ্ছেনা তার স্বামীকে খুঁজে বের করার।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, দেব শংকর সাহা রায় সাবেক নেত্রকোনা কলেজের ভিপি ছিলেন এবং সে নেত্রকোনাতে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে তার সম্পদের লোভে বিবাহিত স্ত্রী স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে ঘড়ে উঠতে না দিয়ে তার মায়ের সহযোগিতায় তার ভাই বোন, বোনদের স্বামীরা তাকে প্রতিনিয়ত চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলতে চাচ্ছে এবং দেব শংকর সাহা রায়ের সম্পত্তি তারা তাকে মেরে ফেলে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
উল্লেখ্য যে, দেব শংকর সাহা রায়ের প্রথম স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী, সে দীর্ঘদিন যাবত দেব শংকর সাহা রায়ের থেকে আলাদা রয়েছে, তাকে নিয়মিত মাসিক খরচ দিয়ে তাকে ঢাকায় রেখে দেব শংকর সাহা রায় একা নেত্রকোনা তার গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। কাজেই প্রথম স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী ( বুদ্ধি প্রতিবন্ধীও সে অনেকটাই) হওয়ার কারণেই দেব শংকর সাহা রায় স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। কিন্তু তার পরিবার তাতে আতংকিত কারণ স্মৃতি কনা বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা মেয়ে। তাকে সংসারে তুললে দেব শংকর সাহা রায়ের পরিবার দেব শংকর সাহা রায়ের সম্পদ লুটপাট করে খেতে পারবেনা, তাই তাদের দুরভিসন্ধির কারণেই স্মৃতি কনা বিশ্বাসকে তারা দেব শংকর সাহার সাথে সংসার করতে দিচ্ছেনা।