১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীঃ
মোঃ ফয়সাল উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে এ ডায়ানস্টিক সেন্টারগুলোর বেশীর ভাগ মানহীন ও লাইসেন্স নেই এমনকি ৪/৫ বছরের নবায়নও নেই তবুও প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো চলছে, নেই প্রসাশনের তদারিক । টিএস ও সিএস অফিস ম্যানেজ করে চলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানাযায়,কড়ইতোলা বাজারের ইসলামিয়া ল্যাব,হাই কেয়ার ল্যাব, উপকূল ল্যাব ব্যাতিত উপজেলার বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেমন ফজুমিয়ার হাট বাজারের প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাজিরহাট বাজারে বিসমিল্লাহি-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন কাগজপত্র নেই এবং মডার্ন মেডিটেক সেন্টারের ৪ বছরের কোন লাইসেন্স নবায়ন নেই। এ ছাড়া দেশ মা-মাটি, উপকুল ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনসাফ ডায়ানস্টিক সেন্টারসহ ৩/৪টি প্রতিষ্ঠানের ২/৩ বছরের লাইসেন্স নবায়ন নেই। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারে কর ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে। সুত্র আরও নিশ্চিত করে জানায় যে, মডার্ন মেডিটেক সেন্টারের এক্সরে ও ওপিজি’র কোন লাইসেন্স/অনুমোদন নেই এবং ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই। করইতলা, হাজিরহাট বাজারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের এক্সরের কোন টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই নামে মাত্র ম্যানেজার, আয়া দিয়ে এ টেস্ট করানো হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ৪/৫ বছর সরকারে কর ফাঁকি দিয়ে নতুন নামে প্রতিষ্ঠান চালু করে। কমলনগর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারি ৩ লক্ষাধিক টাকার কর ফাকি দিয়ে নতুন নামে প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠান চালু করে। এই ভাবে সরকারি ফি ফাঁকি দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাযায়, কমলনগরের ২০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে উ: স্ব: ক: /কমল /২০২৫ /৩৩১-৩৩৯ নং স্বারক, ০৮/০৪/২০২৫ইং হালনাগাদ কাগজপত্র অফিসে জমা দেয়ার জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়। এর আগে উ: স্ব: ক: /কমল /২০২৫ /২২৯-২৪১/২০(১২) নং স্বারক, ১৬/০৩/২০২৫ইং তারিখে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক হাজিরহাট বাজারের একজন চিকিৎসক জানান, চেম্বারে ঢুকার সাথে সাথে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এসে বসে থাকে তার ল্যাবে টেস্ট দেয়ার জন্য । কি টেস্ট দিবো সেখানে টেকনোলজিস্ট নেই, ম্যানেজার/সহকারীকে দিয়ে টেস্ট করায় তবুও সকাল সন্ধ্যা আসে। একজন স্বাস্থ্য সচেতন ও সমাজসেবক জানান, স্বাস্থ্য সেবাটা প্রশাসনের তদারিক বেশী প্রয়োজন। এখানে একজন অসুস্থ্য রোগী যেন সঠিক সেবা পায়। যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ তা যেন সরকার দ্রæত ব্যবস্থা নেয়।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সের কি দরকার টিএসও/সিভিল সার্জন অফিসে কিছু টাকা দিলে বৈধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ জানান, আমি প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি তাদের হালনাগদ কাগজপত্র অফিসে জমা দেয়ার জন্য। কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. আবু হাসান শাহিন বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স ও নবায়ন নেই এ বিষয়ে আমার জানা নাই, খোজ নিয়ে দেখতে হবে।