1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ - Bikal barta
২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| রাত ১২:০৩|
সংবাদ শিরোনামঃ
৪৩ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় পৌরসভায় তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা কর্মচারী ডিগ্রি পাসকোর্স করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। জকিগঞ্জে ঈদগাহ বাজারের একই গ্রামের ৬ তরুণ ৫দিন থেকে নিখোঁজ!সন্ধান পেতে পরিবারের আকুতি!  চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় বাবার ধর্ষণে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা! ঝিনাইদহে গরু চুরি, নিঃস্ব দুই দিনমজুর পরিবার। ধর্ষককে নিয়ে উত্তেজনা বীরগঞ্জে পুলিশের উপর দুর্বৃত্তের হামলা গাড়ি ভাংচুর, থানায় মামলা রামপাল থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার। চট্টগ্রামে চাত্তাই সাইফুল নামের এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর চেষ্টা।  ভাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাংলাদেশকে গণতন্ত্র, সাম্য ও উন্নয়নের পথে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫,
  • 56 জন দেখেছেন

 

মন্জুরুল আহসান 

স্টাফ রিপোর্টারঃ কাউনের ব্যাপক চাষের কারনে এই উপজেলার নাম কাউনিয়া হয়েছে। কাউন থেকে কাউনিয়া। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় এক সময়ে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। ছোট দানা বিশিষ্ট শস্যটি এ দেশে গরীবদের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় সেই কাউনিয়ায় এখন আর কাউনের তেমন চাষ হয় না। ফলে কাউনিয়ার নাম করনের সার্থকতা ও কাউন চাষের ঐতিহ্য দিন দিন হারাতে বসেছে।

সরেজমিনে তিস্তানদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের গ্রাম ঘুরে বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে জানাগেছে, এক সময়ে কাউনিয়ায় আনাচে কানাচে বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। কাউন রংপুর আঞ্চলের মানুষের আথিতিয়তার বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় পায়েস, ক্ষীর, মলা, বিস্কুট তৈরীর উপাদানে কাউনের চাউলের কদর ছিল ব্যাপক, তাই ভোজন প্রিয়াসী গৃহস্থরা ধান চাষের পাশা পাশি কাউনের চাষ করতেন। এ অঞ্চলের রাজা জমিদার বিত্তবানদের খাবার তালিকায় প্রসিদ্ধ কাউনের চালের পায়েস ও ক্ষীর সর্বাগে শীর্ষে ছিল। বর্তমানে কৃষি বিভাগের চরম উদাসিনতায় কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষের রুটি রুজি ও সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে ৩-৪ ফসলি উৎপাদন, ফলে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে হাতে গোনা দু-একটি কাউনের ক্ষেত। কিছু সৌখিন চাষি তিস্তার চরের পতিত জমিতে কাউনের চাষ করেছেন। ঢুসমারা চরের কৃষক তাজুল ইসলাম জানান তিনি চলতি মৌসুমে ২০শতক জমিতে কাউনের চাষ করেছেন, একই চরের মফিজুল হোসেন জানান, তিনি ৩৫ শতক জমিতে চাষ করে সারে ৭ মন কাউন পেয়েছেন। কাউন চাষে তেমন কোন খরচ নেই, সেচ দিতে হয় না, কিটনাশক লাগে না। অল্প ইউরিয়া সার দিলেই হয়। কাউনের বাম্পার ফলন হলেও সঠিক বাজার ব্যাবস্থাপনা না থাকায় চাষিরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় কাউনের তেমন চাষ না হওয়ায় এর চাষের সঠিক পরিসংখ্যান নাই। কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার জানান প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাঁড়ায় না এমন বেলে দোঁআশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। কাউনের শীষ খড়ের রং ধারন করলে এবং বীজ দাঁতে কাটার পর কট করে শব্দ হলে বুঝতে হবে কাটার উপযুক্ত সময় হয়। এলাকাবাসীর দাবী কাউনিয়ার ঐতিহ্য কাউন, এ কাউন চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ এর উদ্যোগসহ সরকারের প্রনদনা দেওয়া প্রয়োজন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!