1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
কালিগন্জে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি ও পাখির বাসা। - Bikal barta
৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শুক্রবার| রাত ১০:০৮|
সংবাদ শিরোনামঃ
মানবতা শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে নাকুগাঁও এলাকায় মূল্যের ৫ হাজার ৮৩৫ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ  নেত্রকোণায় আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন কাজী শাহ্ নেওয়াজ কাউনিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় হিন্দু যুবক আটক। খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা স্যার’ না বলায় ক্ষেপে গেলেন সুনামগঞ্জের এসপি সারীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন  পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে আপন ছোট ভাইদের সাথে মিথ্যা পাঁইতারা করছে আপন বড় ভাইয়েরা ভাঙ্গায় এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু 

কালিগন্জে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি ও পাখির বাসা।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় সোমবার, মে ২০, ২০২৪,
  • 94 জন দেখেছেন

 

কালিগন্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ কালিগন্জ বিলুপ্তির পথে বাবুইপাখি ও পাখির বাসা। সেই চিরচেনা তালগাছে বাঁধা বাবুই পাখিও পাখির বাসা এখন বিলুপ্তির পথে।

তালগাছ কেটে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার কারণে এলাকায় এখন আর তেমন দেখা মিলে না বাবুই পাখি ও পাখির বাসা।

এক সময় গ্রাম-বাংলার প্রকৃতিতে দেখা মিলত সারি সারি তালগাছ ও খেজুরগাছ।

সেখানে সবার নজর কাড়ত নিষ্ঠাবান বুননশিল্পী পাখিওপাখির বাসা।

সেই চিরচেনা তালগাছ আর বাবুই পাখিওপাখির বাসা দুটোই এখন হাড়াতে বসেছে।

ঝিনাইদহ জেলা কালিগন্জ উপজেলায়। তেমনি হারাতে বসেছে প্রাকৃতিক শিল্পী বাবুই পাখির ভোরবেলার কিচিরমিচির মধুর সুরে ডাকাডাকি।

‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই

, কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই।

আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে’।

বাবুই পাখিকে নিয়ে কবি রজনীকান্ত সেনের লেখা একটি কবিতার এ শব্দ চয়নগুলো বাবুই পাখির জীবনযুদ্ধের জয়গানকেই নির্দেশ করে।

গ্রামে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ গ্রামীণ প্রকৃতি ও চড়ুই পাখির ডাকাডাকিতে প্রশান্তি পায়। সহজে ভুলতে পারে না এমন দৃশ্য।

গ্রাম ও গ্রামীণ জীবনে চিরচেনা রূপের মধ্যে বাবুই পাখির বাসাও অন্যতম।

ছোটদের কবিতার বইয়ে স্থান পাওয়া ছোট কবিতাটির প্রতিফলন যেন বাবুই পাখির বাসা।

কালিগন্জ প্রতিনিধি জানান,

ছড়াটি প্রাথমিকের বইয়ের পাঠ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাঠ্যপুস্তকের কবিতা পড়েই শিক্ষার্থীরা বাবুই পাখির নিপুণ কারুশিল্পের কথা জানতে পারত।

নির্বিচারে গাছ উজার আর একশ্রেণির শিকারির কারণে বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির এ বুনন শিল্পীরা।

বর্তমানে কালিগন্জ তেমন বাবুইপাখিও পাখির বাসা দেখা যায়না।

এক সময় গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত।

এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না।

খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি বাসা বাঁধে। এ বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি মজবুত।

খড়, কুটা, তালপাতা, খেজুর পাতা, ঝাউ ও লতা- পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে তাদের বাসা বাঁধে।

জানা গেছে, পুরুষ বাবুই পাখি এক মৌসুমে ৬টি বাসা তৈরি করতে পারে।

আমন ধান পাকার সময় হলো বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম।

এ সময় সাধারণত তাল ও খেজুর গাছের ডালে বাসা তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে।

ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পরপরই বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য স্ত্রী বাবুই ক্ষেত থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে।

প্রকৃতির বিরুদ্ধে,

মানুষের কার্যকলাপের বিরূপ প্রভাবই আজ বাবুই পাখি ও তার বাসা হারিয়ে যেতে বসেছে।

তবে গ্রামগঞ্জের কিছু কিছু অঞ্চলের তাল ও খেজুর গাছে এখনও চোখে পড়ে বাবুই পাখির বাসা।

তবে তালগাছেই তাদের একমাত্র নিরাপদ জায়গা।

সেখানে তারা বাসা বাঁধতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

এ বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় লাগে, ঠিক তেমনি অনেক মজবুত।

প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ছিঁড়ে নিচে পড়ে না।

পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির কাজ শেষ হলে সঙ্গী খুঁজতে বের হয়।

সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য পুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবার পানিতে গোসল করে গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়।

বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে বাসার ভিতর এক চিমটি গোবর রেখে জোনাকি পোকা ধরে এনে তার ওপর বসিয়ে দেয় এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়।

প্রজনন সময় ছাড়া বাবুই পাখির গায়ে ও পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়।

ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাড় বাদামি।

অন্য সময় বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতোই বাদামি হয়। বড় ঘিঘাটিগ্রামের রাজআলী বলেন, আমার বাড়ির পাশে তালগাছ ছিল সেখানে শত শত বাবুই পাখি তাদের বাসা বাঁধক। দিনশেষে সন্ধ্যাবেলায় ঝাঁকে ঝাঁকে বাবুই পাখি তাদের নীড়ে ফিরত।

আর

কিচিরমিচির ডাকে পুরো এলাকা মাতিয়ে তুলত। ভোরবেলাতেও তাদের কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙত। কিন্তু এখন তালগাছ ও খেজুরগাছ কমে যাওয়ায় সবই বিলুপ্তির পথে।

কামরুল বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাবুই পাখির বাসা চিনে কিনা কিংবা দেখলেও চিনবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

বাবুই পাখিরা এই সাধারণত তালগাছ ও খেজুর গাছেই বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। চড়ুই পাখি মানুষের ও বাসাবাড়িতে থাকতে পছন্দ করে।

কিন্তু বাবুই পাখি পরিশ্রমী হয় এবং নিজের তৈরি বাসাতে থাকে।

এদের বাসাগুলোও দেখতে চমৎকার এবং মজবুত হয়। বাবুই পাখিই এরকম সুন্দরভাবে বাসা তৈরি করতে পারদর্শী। এজন্যই বাবুই পাখিকে প্রকৃতির নিপুণ কারিগর বল্য হয়।

তিনি বলেন, কিছু মানুষ

বুঝে না বুঝে তাদের

শিকার করছে।

এ ছাড়া দিন দিন তালগাছ ও খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

যে কারণে বাবুই পাখি এখন বিলুপ্তির পথে।

বৃক্ষ নিধন ও নির্বিচারে পাখি শিকারের কারণে বাবুই পাখির বাসা এখন খুব একটা দেখা যায় না।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে পাখি নিধন বন্ধ করার পাশাপাশি পাখিরণ্য সৃষ্টি করতে হবে।।★

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!