নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইলের কালিয়াতে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মাদক ব্যাবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফেরদৌস ও কামরুলের বিরুদ্ধে ।
মাদক ব্যবসা প্রায় সারা দেশেই বিরাট মহামারির আকার ধারণ করেছে । কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না মাদকের এই রমরমা ব্যবসা, ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে রাঘব বোয়ালেরা । আবার অনেক কষ্ট করে কোন কোন মাদক ব্যবসায়ী কে ধরার পরেও খুব সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসছে তারা, ফলে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা মাদকের এই মহা সিন্ডিকেট।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যত তৎপর হচ্ছে ততটাই চালাক হচ্ছে অসাধু এই ব্যবসায়ীরা। দিন দিন নিত্যনতুন ফন্দিফিকির আঁটছেন মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এবার নড়াইলের কালিয়াতেও সম্পূর্ণ নতুন উপায়ে মাদক ব্যাবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী ফেরদৌস ও কামরুলের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত কাস্টমার ধারা অর্ডার আসলেই সময় ও সুযোগ বুঝে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়া হয় কাস্টমারের বাড়িতে অথবা নির্ধারিত স্থানে। আর এই কাজে অতি চালাকির সাথে ব্যবহার করা হয় নিজের পরিবার ও নাবালক কিছু বাচ্চাদের।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই দাপিয়ে ইয়াবা বিক্রি করে যাচ্ছেন ফেরদৌস ও কামরুল। বেশ কয়েকবার পুলিশ ও অন্যান্য আঈন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে একাধিক মামলা খেয়েও বন্ধ করেনি মাদকের এই নোংড়া ব্যবসা। যতবারই আটক হয়েছেন মাত্র অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে জামিনে বেরিয়ে গেছেন তারা। এমনকি জেল থেকে বের হওয়ার পর মামলার খরচ যোগাতে মাদকের বিক্রি বাড়িয়েছেন বহুগুণ। এবং প্রতিবারই আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যাবসা চালাচ্ছেন তারা ।
গোপন সূত্রে জানাজায়, মাদক ব্যবসাটি ফেরদৌস তার স্ত্রী, পরিবার ও বিশ্বস্ত কিছু লোকদের মাধ্যমে চালালেও এ ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে কামরুল, সে আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য তার পরিবারের পাশা পাশি ব্যবহার করে নাবালক কিছু বাচ্চাদের। তাদের সামান্য কিছু অর্থ দিয়েই সহজে কাজ করিয়ে নেয় কুখ্যাত এই মাদক ব্যবসায়ী ।
মুঠোফোনে ফেরদৌসের সাথে অভিযোগ নিয়ে কথা হলে, ফেরদৌস জানায় গত দুই মাস আগে থেকেই সে ইয়াবা বিক্রি করা ছেড়ে দিয়েছে।
যদিওবা মানুষের মুখে জানাজায় এমন কথা সে শুরু থেকেই বলে আসছে কিন্তু ব্যাবসা এখনও চলমান।
আর কামরুল জানায় তিনি অনেকদিন আগে বিক্রি করলেও এখন আর তিনি এর সাথে সম্পর্কিত নেই । তার পূর্বের শত্রুরা তার নামে এসব মিথ্যা কথা রটিয়ে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, ফেরদৌস, নান্নু, জমশেদ এরা সরাসরি ব্যবসার সাথে জড়িত কিন্তু তিনি এর সাথে সম্পর্কিত নেই বিষয়টি নিয়ে কালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শামিম উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,
আমাদের কাছে এব্যপারে এখনও কোন অভিযোগ বা তথ্য আসেনি, আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।