নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়ায় বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৫৮) এর গলায় ফাঁসে মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিহতের দেবর সুরত শিকদার বাড়ীর পাশে জামরুল গাছে সালেহার ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। মৃত সালেহা বেগম উপজেলার খাশিয়াল ইউপির পুটিমারী গ্রামের মৃত সিদ্দিক শিকদারের স্ত্রী। সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) কিশোর কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, সালেহা বেগমের বড় ছেলে ইব্রাহীম শিকদার (২৮) ও ছোট ছেলে বিপ্লব শিকদার (২৪) জাহাজে চাকুরী করে। বিপ্লবের বয়স যখন ৬ মাস তখন সালেহা বেগমের স্বামী মারা যান। সেই থেকে দুটি ছেলেকে আকড়ে স্বামীর ভিটায় থাকেন। ছেলেরা বড় হয়ে বিবাহ করেছে এবং জাহাজে চাকুরী করে। দুই ছেলের বউ এবং একটা পোতা নিয়ে নিজ বাড়ীতে থাকেন সালেহা বেগম। দীর্ঘ দিন যাবত পেটে ব্যাথায় ভুগছিলেন। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন মর্মে প্রচার আছে। তবে স্থাণীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সালেহা বেগম পরহেজগার মহিলা ছিলেন। বাড়ীর যাবতীয় কাজ তিনিই করতেন আর পুত্রবধুরা মোবাইলে ব্যস্ত থাকতো। একারণে বৃদ্ধা সালেহার সাথে পুত্রবধুদের প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং পুত্র বধুরা তাকে মানসিক অত্যাচার ও নানা ধরনের কটু কথা বলায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা। তবে ঝগড়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে নিহতের বড় ছেলের ৩ বছরের একমাত্র সন্তান নাহিয়ানও স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) কিশোর কুমার রায় বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় সালেহা বেগমের মৃত দেহ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।