এম হোছাইন আলী কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কুতুবদিয়া দ্বীপের চারপাশে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নতুন ভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বনায়নের মাধ্যমে দ্বীপটিকে আরো সবুজায়িত করা হবে, যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত ২দিন ব্যাপি বিশেষ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুন ভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
সম্মেলনের নদ-নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা অধিবেশনের উন্মুক্ত আলোচনায়,
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুতুবদিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবুল কাশেম বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়াকে রক্ষায় নতুন ভাবে বনায়ন এবং কুতুবদিয়ার পিলটকাটা খাল খননে কোন পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না?
জানতে চাইলে,বন ও পরিবেশ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবীদ এবং সরকারের সমন্বয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয়দের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুতুবদিয়ার পিলটকাটা খাল খনন করা হবে বলেও জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত বাপার কক্সবাজার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম বলেন, কুতুবদিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বনায়ন ও উপকূলীয় সবুজব্যষ্টনী তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দীর্ঘ মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এবং প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণে যে টাকা অপচয় হয় তা কমিয়ে আসবে। সরকারের এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবী জানান।
কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেক মানুষ বসতবাড়ী হারাচ্ছে। সমুদ্রের লোনাপানির ঢেউ সরাসরি বেড়িবাঁধে আঁচড়িয়ে পড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধ রক্ষায় দ্রুত চতুর্পাশে বনায়ন করার দাবী দ্বীপবাসীর।