স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মধ্যজাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান আহমদের নামে ভারতীয় চোরাই পণ্যবাহী গাড়ি থেকে অবৈধ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আলোচনা-সমলোচনার ঝড়। মধ্যজাফলং ইউনিয়নের বেকারত্ব লোকজন জীবনের ঝুকি নিয়ে ভারতীয় চোরাইপণ্য বিক্রি করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু সেই পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা দিতে হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান লোকমানকে। এক কথায় চোরের উপর ডাকাতি যাকে বলা যায়।
লোকমানকে জনগণের সেবা করার জন্য তাকে ভোট দিয়ে জনগণই ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন। কিন্তু জনগণের ভোটের নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাই বর্তমান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিক সিকদার ও তার লোকজনের মারফতে এসকল টাকা আদায় করাচ্ছেন চেয়ারম্যান লোকমান বলে অভিযোগ প্রকাশ। কোন চোরাকারবারী টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজ চক্রটি তাদের উপর হামলা চালায়। তবে আইনী জটিলতা এই চাঁদাবাজ চক্রকে রক্ষা করেন চেয়ারম্যান লোকমান নিজেই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত থেকে পণ্যগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসি। কিন্তু রাস্তা রাস্তা চাঁদা দিতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের পুঁজি চলে যায়। এখন ইউপি চেয়ারম্যান লোকমানের নামে তার ভাই লোকজন নিয়ে আমাদের গাড়িগুলো আটকিয়ে টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে আমাদের উপর হামলা করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যজাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ-এর ব্যবহৃত সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- জরুরি একটা মিটিংয়ে আছেন ১০ মিনিট পরে যোগাযোগ করবেন। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক-এর সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।