* এ প্রতিবেদনের জেরে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী অফিসে ঢুকে হুমকি-ধমকি
* আধিপত্য বহালে আগে তার নিজস্ব বাহিনীর সাথে কাজে লাগিয়েছেন-প্রশাসনের কতিপয় অসাধু লোককে,এখন যুক্ত করেছেন নতুন সুবিধাবাদিদের
* সংবাদকর্মী পরিচয়দানকারী শিমুলদের বখরাবাজির নানা চক্রান্
কামরুজ্জামান মিল্টন:
সাম্প্রতিক দেশের প্রায় সব লুটেরাদের আস্তানারূপী সরকারি প্রতিষ্ঠানে কম-বেশী ঝাকি লাগলেও,লাগেনি-বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বিআরটিসি’তে। তা যেন রয়েছে-সাবেক কায়দায় বহাল। সদ্য সময়ের এ হেরফেরে প্রায় সব প্রতিষ্ঠান হোতারাই কম-বেশী
নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু বিন্দুমাত্র টলেননি বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। থামেনি- না তার বেপরোয়া সব তৎপরতা। বরং নয়া তকমায় সাবেক কায়দায় বহাল থাকার আটঘাট রীতিমত বেধেই নিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। আর তার প্রমান মিলেছে-এর আগে এসব নিয়ে তৈরি কয়েক খণ্ড প্রতিবেদনের এক খণ্ড প্রকাশের পর। তবে একটা মেয়াদের নির্বিঘ্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও আধিপত্যে ঘেরা লুটপাটের আরো কিছু ছোট্ট-খাট্ট কিছু নমুনা সম্বলিত এবারের অংশটিতে দুর্দান্ত প্রতাপশালী বিআটিসির ওই চেয়ারম্যানের সদ্য প্রদর্শিত বেপরোয়া দাপুটে আচরণের কিছুটা দেখানোর থাকছে-প্রয়াস।
আর সূত্র মতে,তা হলো-সমালোচনার ঝড়ে পড়া অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান হোতা বা প্রধানের ন্যায় বিআরটিসি’র চেয়ারম্যানও আধিপত্যের আধিখ্যেতায় বরাবরই ছিলেন বেপরোয়া। এযাবৎ নিজের আধিপত্য ঘেরা হীনস্বার্থ হাসিলে তিনি চালিয়ে আসছেন-একতরফা অনিয়ম, বে-নিয়ম ঘেরা লুটপাট। আর তা নির্বিঘ্ন করনে তৈরি নিজস্ব বলয়কে দিয়েছেন-একচ্ছত্র প্রাধান্য। গড়ে তুলেছেন-নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীও। তা দিয়েই বিরোধীদের দমিয়ে রেখেছেন। তাতেই ছড়িয়েছে-নানা অপকর্মের দুর্গন্ধ। যদিও বরাবরই তা নিয়ে বঞ্চিত-লাঞ্ছিতদের সোরগোলও ছিল জোরালো, ছিল-নির্যাতিতের আৎচিৎকার। কিন্তু তার সবই যেন বিআরটিসি’র ওই আধিপত্যের শক্ত দেয়ালে আছড়ে পড়েই নিঃশেষ হয়ে গেছে। আবার কেউ বা হয়েছে-নির্বিকারে সায়েস্তা। আর এসব নিয়ে সদ্য দুটি কথা তুলে ধরতেই চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর আক্রোশের শিকার হয়,এ পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টরা। সংঘবদ্ধভাবে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর মুস্তাকিম ও নাদিমসহ ছয় সাত জন অফিসে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলে ওই বাহিনীর লোকজনের নানা বেয়াঈনী তৎপরতা। অফিস বা রাস্তায় পেলেই তুলে নিয়ে তুলে নিয়ে সায়েস্থার নানা হুঙ্কার-ঝঙ্কার অফিসের আশ-পাশের চা দোকান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শেষে এব্যাপারে মতিঝিল থানায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে করা হয়-একটি ডাইরী । যার নম্বর-১১৬৯,তারিখ-১৮-০৯-২০২৪ইং। এছাড়াও এ ব্যাপারে তথ্যদাতা সন্ধে আবুল হাসান নামের জনৈক ব্যক্তিকে ঐ বাহিনীর লোকজন রাস্তার থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আটক রেখে জোর করে মুচলেকা স্বাক্ষর করিয়ে নেয় । এতে আবুল হাসান মতিঝিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মূল কারণ হলো-চেয়ারম্যান’র ভাগ্নি জামাই বলে চাউর থাকা এবং জালিয়াতি করে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী থেকে চাকরি বাগাতে গিয়ে বিতাড়িত জনৈক রাশেদুল ইসলামকে ঘিরে করা ওই প্রতিবেদনের অংশটুকু । হঠাৎ ওই রাসেদকেই চেয়ারম্যান ক্ষমতা বলে গেল ১লা সেপ্টেম্বর সবার অগোচরে নারায়নগঞ্জ বাস ডিপোতে নিয়োগ দেয়াকে ঘিরে গুঞ্জন ছড়ায়। অথচ যে রাশেদুল গত-২০২৩ সালে অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অন্য একজনকে বসিয়েছিল। আর নিজের ফাকা খাতা জমা দিয়েও সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তার জালিয়াতি ধরে পড়ে। ফাশ হয়ে যায়-তিন লাখ টাকার চুক্তিতে অন্যজনকে পরিক্ষায় বসানোর গোমর। আর তা নিয়ে গোলমাল বাধলেই চেয়ারম্যান তার দায় এড়াতে মোঃ নাদিম ও নুর আলম নামের দু’জন কর্মচারীকে শোকজ করেন। সেই সাথে রাশেদুল ইসলাম নামের ওই কর্মচারীকে বিআরটিসি’র অফিস থেকে করা হয়-বিতাড়িত । আড়ালে সচল ছিল বিশেষ সুবিধা। তাকে দেয়া হয়ে আসছিল-প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা। কিন্তু তা চেয়ারম্যানের নিজের পকেট থেকে নয়, মতিঝিল বাস ডিপো, অর্থাৎ সরকারি টাকা থেকে। ম্যানেজার মোশারফ ওই চেয়ারম্যানের নির্দেশেই প্রতিমাসে রাশদুলের স্ত্রীর বিকাশ নাম্বারে সময়মত ওই টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন। তা যেমন-কারো নজর এড়ায় নি, তেমনি-সদ্য সেই জালিয়াতি রাশেদুলকেই ফের বিআরটিসিতে কাজের সুযোগ দেন। এসব নিয়ে ওই প্রকাশিত খণ্ড প্রতিবেদনের জেরে চেয়ারম্যানের লালিত গুণ্ডা ও দালাল চক্রের বেশামাল দাপাদাপিতে এর খণ্ডটি এরপর। তবে এরপরের খণ্ডে চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর এর আগের নানা বেয়াঈনী তৎপরতার কিছু নমুনা দেখবেন।