ষ্টাফ রিপোটার:
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে সুবেদ মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। সে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে নবীগঞ্জ উপজেলার চরগাঁও গ্রামের নিকটে হাফিজ ব্রীক ফিল্ডে।
ফলে নদীর নিকটবর্তী রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। আর এ অবৈধ ব্যবসাটি স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে হলেও তারা অদৃশ্য কারণে নিরব রয়েছে। এদিকে দ্রুত মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছেন, কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীঘলবাক ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের নিকটে স্থানীয় প্রভাবশালী চরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র সুবেদ মিয়া গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে পাশের একটি হাফিজ ব্রীক ফিল্ডে মাটি বিক্রি করে আসছে। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে সহযোগিতা করছে।ফলে সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ- আউশকান্দি ভায়া ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জমি এবং নদীর পারের রাস্তা এবং ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তায় ট্রাক ওই রোডে চলাচল করায় রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, জনসাধারণ তথা যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা কাঁদা মাটি এবং ধুলো বালিসহ ট্রাকের কালো ধোঁয়ার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মাটি খেকো নিশাফর ও বালি খেকো রাসেলগংরা কোন বাঁধাই মানছে না। এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,সুবেদ বিগত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে হাফিজ ব্রীক ফিল্ডে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। প্রতিদিন তার আয় আছে প্রায় লক্ষাধীক টাকা। অবৈধ মাটি ব্যবসায় জিরো থেকে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক। শুধু ব্রীক ফিল্ডেই মাটি বিক্রি করছে তা নয়,সে প্রভাব কাটিয়ে স্থানীয় অনেক মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে ৫/৬ টাকা কোয়া বিক্রি করে এখান থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
তারা আরো জানান,মাটি খেকো সুবেদ মিয়া, প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। প্রশাসন কি কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। সুবেদ বলছে সে জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমীন বলেন,উপজেলা প্রশাসন থেকে কুশিয়ারা নদীতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য আসলে আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। তিনি বলেন এসব অবৈধ মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের নাম সংগ্রহ করে প্রশাসন থেকে মামলা দেয়া হলে হয়তো রক্ষা পাবে কুশিয়ারার বুক।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন কুশিয়ারা নদী থেকে জগন্নাথপুর অংশে অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে তাহলে আমরা তা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান