হারুন অর রশিদ স্টাফ রিপোর্টার:
দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর কালাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান এবং কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকাল ৯টায় কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় কর্মসূচি শুরু হয়। কালাই উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমাম মোঃ মামুনূর রশিদ পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমির কুমার কুন্ডু গীতা পাঠ করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার ও মন্টু চন্দ্র মহন্ত জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময়ে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, কালাই থানার পুলিশ প্যারেড কমান্ডার উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে প্যারেডের অনুমতি নেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কালাই ডিগ্রি কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানানো হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।